সিরিজের শুরুটা সেঞ্চুরি দিয়ে, শেষটাও সেঞ্চুরি দিয়ে করলেন যশ্বসী জয়সওয়াল। মাঝে টুকটাক হোঁচট খেয়েছেন, তবে পুরোটা সময় জুড়ে তিনি বুঝিয়েছেন, তিনি বড় মঞ্চের বড় পারফরমার। তিনি টেস্ট ক্রিকেটের বনেদী ফরম্যাটে বিচরণ করবেন দীর্ঘদিন। এগিয়ে নিয়ে যাবেন ভারতের ব্যাটিং লিগ্যাসি।
তা প্রমাণে ওভালেও খেলে গেলেন ভীষণ অর্থবহ এক ইনিংস। ১১৮ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেললেন যশ্বসী জয়সওয়াল। ওভালের উইকেটে ভারত প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২২৪ রানে, ইংল্যান্ড সর্বসাকুল্যে সংগ্রহ করেছে স্রেফ ২৪৭ রান।
অতএব উইকেট যে মোটেও ব্যাটিং সহায়ক নয়, তা প্রমাণের জন্যে অন্য কোন নির্ণায়ক প্রয়োজন নেই। এমন একটি উইকেটে দাঁড়িয়ে ভারতকে জয়ের আশা বুননের বুনিয়াদ দিয়ে গেলেন জয়সওয়াল।
১৬৪ বলের ইনিংসটির শুরু তিনি করেছিলেন আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে। তিনি জানতেন এই উইকেটে টিকে থাকা কঠিন। ম্যাচের ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে হলে রান করা প্রয়োজন। সেই উপলব্ধি থেকেই চালিয়ে খেলেছেন যশ্বসী জয়সওয়াল।
তিনদিনে টেস্ট শেষ হওয়ার শঙ্কাকে খানিকটা দীর্ঘায়িত করেছে জয়সওয়ালের ইনিংসটি। তাছাড়া এই পুরো সিরিজে এই নিয়ে চারটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেললেন তরুণ এই ব্যাটার। যার দুইটিই আবার সেঞ্চুরি। মাঝপথে বেশ কয়েকটি ইনিংসে তিনি সেই আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি।
আউট হতে হয়েছে দ্রুতই। সে সময়ে সংশয় জেগেছিল তাকে ঘিরে। তিনি কি সত্যিই বড় মঞ্চের খেলোয়াড় তো? সেই সংশয়কে ওভালের উইকেটে মাটি চাপা দিলেন জয়সওয়াল। যেখানে দাঁড়িয়ে তাবড় তাবড় সব ব্যাটাররা খাবি খেয়েছেন সেখানে তিনি দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। দলের জন্যে জ্বেলেছেন আশার আলো। সংশয়ের কালো মেঘ সব বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে গিয়ে এখন তাই জেগেছে সূর্যালো।