যশস্বী জয়সওয়াল, অজি দাপটের বিরুদ্ধে ভারতীয় জবাব

ধৈর্যের পরীক্ষায় উতরে এই বাঁ-হাতি আদায় করে নিয়েছেন নিজের নবম হাফসেঞ্চুরি; সেই সাথে দলকে নিয়ে এসেছেন নিরাপদ স্থানে। ভারতকে ছিড়েখুঁড়ে খেতে এসেছিলো অজি দানবরা, কিন্তু তাঁর ব্যাটের কাছে হার মানতে হয়েছে তাঁদের। সত্যি বলতে, তাঁকে জবাব দেয়ার মত কিছু খুঁজেই পায়নি কামিন্স বাহিনী।

যশস্বী জয়সওয়াল – একেবারে শান্ত, শরতের আকাশের মতন। চোখেমুখে আগ্রাসনের ছাপ নাই, বরং শিশুতোষ সারল্য। সেই তিনিই আবার চোয়াল শক্ত করে বনে যেতে পারেন হিমালয়, গড়ে তুলতে পারেন দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা ব্যূহ। যেই প্রতিরক্ষা ব্যূহের কাছে অসহায় মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সের মত বিশ্বসেরা বোলাররাও।

ভাগ্যদেবী সহায় হয়নি, স্রেফ মুহূর্তের একটা হিসেবনিকেশ ভুল হয়েছে। এতেই থেমে গিয়েছে বাইশ গজে এই তরুণের যাত্রা। তা নাহলে আরো একটা তিন অঙ্কের ইনিংস পেতেই পারতেন তিনি; বড় ইনিংস খেলা যার কাছে ছেলের হাতের মোয়া তিনি ৮২ রান করলে সেঞ্চুরি না করার দুঃখটাই মুখ্য হয়ে উঠবে। তারউপর যেভাবে আউট হয়েছেন সেটা আক্ষেপই বাড়িয়েছে কেবল।

রোহিত শর্মা ফিরে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় ওভারে, লোকেশ রাহুল স্থায়ী হয়েও হতে পারলেন না। টপ অর্ডারের এমন নড়বড়ে অবস্থার মাঝেও অটল ছিলেন জয়সওয়াল; কোন কিছুই তাঁর মনোযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি।

ধৈর্যের পরীক্ষায় উতরে এই বাঁ-হাতি আদায় করে নিয়েছেন নিজের নবম হাফসেঞ্চুরি; সেই সাথে দলকে নিয়ে এসেছেন নিরাপদ স্থানে। ভারতকে ছিড়েখুঁড়ে খেতে এসেছিলো অজি দানবরা, কিন্তু তাঁর ব্যাটের কাছে হার মানতে হয়েছে তাঁদের। সত্যি বলতে, তাঁকে জবাব দেয়ার মত কিছু খুঁজেই পায়নি কামিন্স বাহিনী।

প্রথম টেস্টে ১৬১ রানের দানবীয় একটা ইনিংস খেলার পর খানিকটা ছন্দপতন অবশ্য হয়েছিল এই ওপেনারের। পরের দুই টেস্টেই ব্যর্থ হয়েছেন মোটাদাগে; তবে টিম ইন্ডিয়ার যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁকে তখন ঠিকই জ্বলে উঠলেন – নিজের কাজটা করে দিলেন নিখুঁতভাবে।

যশস্বী জয়সওয়াল – নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে যশ আর জয়ের গান। তাই তো এই তারকা জিতবেন, যশ কুড়াবেন সেটাই স্বাভাবিক। ভারত থেকে শুরু করে ক্যারিবীয় দ্বীপ কিংবা অজি দম্ভের দূর্গ সর্বত্র তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজয়ের কেতন। এভাবেই হয়তো কেতন উড়িয়ে যাবেন ক্যারিয়ারের বাকি দিনগুলোতেও।

Share via
Copy link