জাকের, অঙ্কন নতুন দিনের দিশারি। মুশফিকুর রহিমের পথচলা প্রায় শেষের দিকে। তার ফেলে যাওয়া হাল ধরার কাণ্ডারি ভাবা হচ্ছে জাকের আলি অনিক আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। অন্তত টেস্ট দলে এই দুইজনের প্রতি আস্থা রাখতে চাইবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
জিম্বাবুয়ের সিরিজকে ঘিরে, বেশ কয়েকদিন ধরেই সিলেটে চলছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ক্যাম্প। সেই সিরিজের স্কোয়াডে রয়েছেন জাকের, অঙ্কন দুইজনেই। নিজেদেরকে ঝালাই করে নিয়েছেন নতুন চ্যালেঞ্জের জন্যে। ঘরের মাঠে শেষ সিরিজে জাকেরের ইনজুরিতে দলে রীতিমত তড়িঘড়ি করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল অঙ্কনকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন জাকের। সেটাই ছিল তার অভিষেক টেস্ট ম্যাচ। এর আগে সাদা বলে অভিষেকেও নিজের ব্যাটিংয়ের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছিলেন জাকের। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের নব অধ্যায়ের শুরু ঘটে তারই হাত ধরে।
কিন্তু ইনজুরির কারণে তিনি ছিটকে গেলে অঙ্কনের ডাক আসে জাতীয় টেস্ট দলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে শুরু হয় অঙ্কনের টেস্ট ক্যারিয়ার। ওই একটি মাত্র ম্যাচই তিনি খেলেছেন এখন অবধি। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। যদিও ৬৪টি বল খেলে জানান দিয়েছিলেন নিজের টেম্পারমেন্টের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্কোয়াডে আছেন মুশফিকুর রহিমও। অঙ্কন, মুশফিক, জাকের তিনজনই আবার উইকেটরক্ষক ব্যাটার। যদিও টেস্ট ক্রিকেটে মুশফিক এখন আর নিয়ম করে দস্তানা হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়ান না। তাইতো এই তিনজনের মধ্যে দুইজন অন্তত থাকছেন একাদশে। কিন্তু জাকের আলি অনিকের উইকেট রক্ষণ নিয়ে দ্বিধা রয়েছে বেশ।
সময়ের সাথে তার উইকেটরক্ষণের দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত। আধুনিক ক্রিকেটে একটি স্কিল নিয়ে টিকে থাকা তো বেজায় কষ্টকর। তবে এই সময়ের মধ্যে মুশফিক নিশ্চয়ই চেষ্টা করবেন লিগ্যাসির হস্তান্তর সঠিকভাবে করে দিতে। সময় যে ফুরিয়ে এসেছে, এবার যে যেতে হবে।