লড়াইয়ের নতুন পথিকৃৎ হয়ে উঠছেন জাকের আলী অনিক। তবে তার লড়াইয়ের ধরণ প্রশ্নবিদ্ধ। একটা লড়াকু অর্ধশতক করলেন তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শেষদিকে হাতখুলে মারলেনও। কিন্তু তবুও কোথাও একটা তার পরিকল্পনার গলদ পরিলক্ষিত হয়েছে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে।
জাকের আলী অনিক আগের দিন অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিন শুরু করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত সাথে। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় বলেই শান্তর আবার কাণ্ডজ্ঞানহীন শট সিলেকশন। অপ্রয়োজনীয় এক পুল শট খেলতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শান্ত।
তার উইকেটটি ছিল দলের পঞ্চম উইকেট। অর্থাৎ জাকের ছিলেন ব্যাটারদের শেষ জুটির একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এরপর মিরাজ এলেন, তিনিও ফিরে গেলেন দ্রুতই। এখন টেলএন্ডারকে সাথে নিয়ে দলের সংগ্রহ বাড়ানোর কাজই ছিল জাকের আলী অনিকের। কিন্তু এখানেই বরং গলদের সূত্রপাত।
শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে বাইশ গজে দায়িত্ব নিতে হয়। দলের উইকেটগুলো বাঁচিয়ে রাখতে নিজেকে যতটা সম্ভব স্ট্রাইকপ্রান্তে রাখা প্রয়োজন। কিন্তু জাকের এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তিনি বারংবার টেলএন্ডার ব্যাটারদের পাঠিয়েছেন স্ট্রাইকপ্রান্তে। এমনকি হাসান মাহমুদকে তো রীতিমত ওভারের শুরুর দিকেই স্ট্রাইক হস্তান্তর করেন জাকের।
তার ফলে পরবর্তী ৪৫ রান নিতে নিতেই সাজঘরে বাংলাদেশ। এর মধ্যে যদিও হাসান বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। ৫৮ খানা বল তিনি খেলিয়েছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতি বিবেচনায়, এর অর্ধেক বলও মোকাবেলা করার উচিৎ নয় হাসানের। সে দায়িত্বটা জাকেরের উপর বর্তায়।
নিজের উপর থেকে দায়িত্বের চাপ কমাতে গিয়ে নিজেও হতাশ হয়েছেন তিনি। টেল এন্ডার ব্যাটারদের স্ট্রাইক প্রান্তে পাঠিয়ে তিনি তাসের ঘর অবলোকন করে গেছেন আরেকপ্রান্ত থেকে। খালেদ আহমেদের বিদায়ের পর নিজের ব্যাট ফেলে দিয়ে হতাশাও ব্যক্ত করেন জাকের। কিন্তু তাতে তো আর পরিস্থিতি বদলে যায় না।
শেষ উইকেট হিসেবে নাহিদ রানা বাইশ গজে আসার পর বড় শটের পথ বেছে নেন জাকের। তাতে করে অল্প-বিস্তর রান জমা হয়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। তবে প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে ১১১ বলে জাকেরের ৫৮ রানের ইনিংসটিও খানিকটা প্রশ্নবিদ্ধ হল, স্রেফ তার অ্যাপ্রোচের কারণে।