জাওয়াদ আবরার সজোরে এক ঘুষি মারলেন। আজিজুল হাকিম তামিম তাতে ব্যথাও পেলেন। ভাগ্যিস হেলমেট ছিল বলে! না, ব্যক্তিগত আক্রোশ নয়। নেহায়েত দুষ্টমি করেই সেই ঘুষিটি চালিয়েছেন জাওয়াদ। বন্ধুদের মধ্যে মজার ছলে মারামারি করতে গিয়ে, অনিচ্ছাকৃত আঘাত তো আমরা অনেকেই করেছি। এটা তেমন এক ঘটনা।
আজিজুল হাকিম তামিম ও জাওয়াদ আবরার দু’জনের বয়সই ১৮। এই বয়সেই ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরের একটি ক্লাবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামিম। আর তামিমের শিবিরের অন্যতম সেনানি জাওয়াদ, সামলাচ্ছেন ওপেনিং পজিশন। কি এক গুরুদায়িত্ব দু’জনের কাঁধে।
এখনও যে কৈশরের সেই প্রাণবন্ত সত্ত্বাকে তারা পেছনে ফেলে আসেননি। এই যে বাচ্চাদের মত দুষ্টমির করবার ইচ্ছে তো চিরকাল থেকে যায়। কিন্তু স্থান, কাল, পাত্র ভেদে আমরা আর সতীর্থ কিংবা বন্ধুর সাথে কৈশরের মজার ছলের মারামারিটা আর করতে পারি না। কাঁধে রাজ্যের চাপ নিয়েও জাওয়াদ-তামিমরা বাঁচিয়ে রাখছেন কৈশরের সজীবতা।
এখানেই সম্ভবত কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার সার্থকতা। ‘এ বয়স মাথা নোয়াবার নয়’- তামিম, জাওয়াদরা মাথা নোয়ায় না। কোন দায়িত্ব পেয়ে তারা মচকে যায় না। বরং নিজের প্রাণোচ্ছ্বল সত্ত্বার প্রতিফলনে উড়িয়ে দিতে চায় সমস্ত চাপকে।
তাছাড়া এই দুই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের নতুন দিশারি হয়ে উঠেছেন। মারকুটে ব্যাটিংয়ে নিজেদের প্রচার ও প্রসার ঘটিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই দুইজন সম্ভবত সে বিষয়টি জানেও না, যে তাদের উপর দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়ছে।
‘সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে’- তারাও নিশ্চয়ই প্রতিদানের শপথে বলিয়ান হতে চাইবেন। নিজেদের সঁপে দিতে চাইবেন দেশের ক্রিকেটের নব উত্থানের মিছিলে।