ট্রটের চোখে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আফগানিস্তান

শ্রীলঙ্কার সাথে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে বাংলাদেশ এখন কোণঠাসা, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে আরো পিছিয়ে দিতে এবার কথার লড়াইয়ে নামলেন আফগানিস্তান দলের কোচ জোনাথন ট্রট। সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন তাঁর চোখে আফগানিস্তানই ফেভারিট; আগামী ম্যাচে টাইগারদের হারিয়ে দেয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী তিনি।

শুধু কোচই নয়, বাংলাদেশকে ছোট করে দেখছেন রশিদ খানও। ফটোশুটে এই লেগ স্পিনার নাগিন পোজে হাজির হয়েছেন। আর তা দেখে অধিকাংশ দর্শকই বুঝেছেন বাংলাদেশকে খোঁচা দিয়েছে এই তারকা।

শুক্রবার লাহোরে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছিলেন রশিদদের গুরু জোনাথন ট্রট। একপর্যায়ে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে কে ফেভারিট – এমন একটি প্রশ্ন ভেসে আসে সাংবাদিকদের মাঝ থেকে। এরপরই নিজের গায়ে থাকা টি-শার্টের লোগোটি আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন তিনি। এই ইংলিশ কোচের বার্তা স্পষ্ট, সাকিবদের বিপক্ষে জয়ের পাল্লা আফগানদের দিকেই হেলানো।

অবশ্য জোনাথন ট্রটের এমন দাবি না মানার উপায় নেই। সবশেষ বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে জয়ী দলের নাম তো আফগানিস্তানই। অথচ অর্ধ যুগের বেশি সময় ইংল্যান্ড ছাড়া কেউই ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে সিরিজ হারাতে পারেনি। এছাড়া মুজিব, রশিদদের বিরুদ্ধে টাইগারদের ব্যাটারদের পরিসংখ্যানও ভয় জাগানোর মত।

বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন জোনাথন ট্রট। তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ খেলেছি। আবার একটি সিরিজে বাংলাদেশের সাথেও খেলেছি, আর সেখানে তাঁদের প্রথমবারের মতো হারাতে পেরেছি, যা দুর্দান্ত অর্জন। সুতরাং সব দল একে অপরকে ভালভাবে জানে। তাই আমি আশা করি বেশ উপভোগ্য ম্যাচ হবে, ভরপুর রোমাঞ্চ থাকবে। যা তিনটি দেশের ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য ভাল।’

প্রথম ম্যাচেই হেরে যাওয়ায় সুপার ফোরের রাস্তা কঠিন হয়ে গিয়েছে টিম বাংলাদেশের জন্য। আফগানিস্তান বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প নেই, আবার জিতলেও নিশ্চিত নয় পরের রাউন্ড। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ যে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েই খেলবে আফগান ম্যাচে সেটা ভাল করেই জানা আছে সাবেক ইংরেজ ক্রিকেটারের।

তাই তো বাংলাদেশ যেমন ইন্টেন্সিটি নিয়ে খেলবে, একই ইন্টেন্সিটি নিয়ে খেলতে শিষ্যদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এই কিংবদন্তি ব্যাটার বলেন, ‘আমরা জানি দুইটি ম্যাচই কঠিন হতে চলেছে। তবে প্রথমে বাংলাদেশের খেলায় ফোকাস করতে হবে, তারা অবশ্যই জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে। তাদের জয়ের আকাঙ্ক্ষার সাথে আমাদের মানসিকতার মিল করা প্রধান কাজ। কেননা তাঁদের মত ক্ষুধা নিয়ে মাঠে না নামলে আমরাই চাপের মধ্যে থাকব।’

আফগান কোচ আরো বলেন যে এটাই আজকের, কালকের এবং ম্যাচের দিনের জন্য ছেলেদের প্রতি তাঁর মেসেজ। এছাড়া এশিয়া কাপে খেলাটা আফগানিস্তানের জন্য দারুণ বলেই মনে করেন তিনি।

এই ইংরেজ মনে করেন, ‘এশিয়া কাপে খেলাটা বেশ সম্মানের। এই টুর্নামেন্টের ইতিহাস সমৃদ্ধ, অনেক কিংবদন্তি খেলোয়াড় খেলেছেন। আফগানিস্তান দলের জন্য এটা তাই চমৎকার মঞ্চ। এখানে ভাল করতে পারাটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতেও সহায়ক হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link