বড় ক্লাব, বিশাল অঙ্কের বেতন আর ম্যাচের পর ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকা নাকি প্লেয়িং টাইম – ফুটবলকে মনে প্রাণে ধারণ করেছে এমন যেকোনো ফুটবলার অবশ্য দ্বিতীয়টাকেই বেছে নিতে চাইবেন। জুলিয়ান আলভারেজও ব্যতিক্রম নন, তাই তো ম্যানচেস্টার সিটিতে এত সাফল্য পেয়েও খুশি হতে পারছেন না। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবছেন তিনি।
ইতোমধ্যে একাধিক ক্লাব তাঁর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চেলসি এবং আর্সেনালের পাশাপাশি লা লিগার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পছন্দের তালিকায় রেখেছে তাঁকে। যদিও হুট করে কিছু ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আপাতত আর্জেন্টিনা দলের হয়ে অলিম্পিক খেলছেন আলভারেজ। তাঁর সব মনোযোগ এখন পদক পাওয়ার দিকে। টুর্নামেন্ট শেষ করে তবেই নিজের ক্লাব ক্যারিয়ার নিয়ে ভাববেন তিনি। এই স্ট্রাইকার বলেন, ‘আমি সিটিতে ভাল আছি, অলিম্পিকের পরে দেখা যাবে কি হয়। গত মৌসুম ভালোই কেটেছে, যদিও বড় ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকা আসলে বিরক্তিকর।’
এর আগে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে থাকা সদস্যদের একজন। কিন্তু দিনশেষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আপনি অবদান রাখতে চাইবেন, পরিকল্পনার বাইরে থাকতে চাইবেন না নিশ্চয়ই।’
২০২২ সালে ১৪ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিভার প্লেট থেকে ইতিহাদে এসেছিলেন এই আর্জেন্টাইন। এরপর থেকে খেলে ফেলেছেন একশো’র বেশি ম্যাচ, গোল করেছেন ৩৬টি। তবে একই পজিশনে আর্লিং হ্যালান্ড থাকায় শুরুর একাদশে খুব একটা জায়গা হয় না তাঁর, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে ভরসাও করেন না কোচ পেপ গার্দিওলা।
তাই তো ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন এই তরুণ, তিনি যদি ক্লাব ছাড়তে চান সেক্ষেত্রে অবশ্য ম্যানসিটি বাঁধা দিবে না। ৬০ মিলিয়ন ইউরো এবং সতেরো মিলিয়ন এড অন ফি পেলেই তাঁকে ছেড়ে দিবে ক্লাবটি।
একই সাথে প্রোপার গোলস্কোরার এবং ভার্সেটাইল ফরোয়ার্ড হওয়ায় জুলিয়ান আলভারেজ যেকোনো ক্লাবের জন্যই এক্স ফ্যাক্টর হতে পারেন। তাই তিনি দলবদলের সিদ্ধান্ত নিলে ট্রান্সফার মার্কেটে কাড়াকাড়ি হবে সেটা প্রায় নিশ্চিত। আপাতত অলিম্পিক শেষ হওয়ার অপেক্ষা, এরপরই পুরোপুরি জানা যাবে তাঁর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে।