অনবদ্য রাবাদার অনন্য মাইলফলক

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারকে ধসিয়ে দিয়ে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন কাগিসো রাবাদা। দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তুললেন নিজের নাম।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারকে ধসিয়ে দিয়ে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন কাগিসো রাবাদা। দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তুললেন নিজের নাম।

কিছুদিন আগে ডোপ টেস্ট কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন, এমনকি সাময়িক সময়ের জন্য নিষিদ্ধও হতে হয় তাঁকে। তবে আবারও মাঠে ফিরেছেন, আর সমালোচনা ছাপিয়ে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নিয়েছেন।

লন্ডনের লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম দিনেই এই কীর্তি গড়েন রাবাদা। ম্যাচ শুরুর আগে তার উইকেট সংখ্যা ছিল ৩২৭। অ্যালান ডোনাল্ডের রেকর্ড ভাঙতে প্রয়োজন ছিল চারটি উইকেট। সেটা তিনি পূর্ণ করে ফেলেন মাত্র দুই সেশনের মধ্যেই। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের এক দুর্দান্ত স্পেল উপহার দেন তিনি।

টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেননি রাবাদা। প্রথমেই ফেরান উসমান খাজাকে শূন্য রানে। এরপর একে একে তুলে নেন ক্যামেরন গ্রিন, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক এবং বিউ ওয়েবস্টারকে। ৫ উইকেটের এই স্পেল শুধু ম্যাচে প্রভাবই ফেলেনি, এনে দিয়েছে ইতিহাসের নতুন পাতাও।

এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ডেল স্টেইন, যার নামের পাশে রয়েছে ৪৩৯ উইকেট। ৪২১ উইকেট শিকার করে পরের নামটা শন পোলক, মাখায়া এনটিনির নামের পাশে ৩৯০ এবং ৩৩২ উইকেট নিয়ে চতুর্থ নামটা রাবাদার।

মাত্র ৭১টি টেস্ট খেলেই এমন কীর্তি, সামনে যে সময় আছে অনেকটা, তাতে রাবাদার অবস্থান যে আরও ওপরে যাবে, তা বলাই যায়।রাবাদার এমন পারফরম্যান্স যেন টেস্ট ক্রিকেটে গতি আর ধারাবাহিকতার সংজ্ঞাই নতুন করে লিখে দিচ্ছে। বল হাতে তাঁর আগ্রাসন, নিয়ন্ত্রণ আর ম্যাচ রিডিং দক্ষতা—সবকিছু মিলিয়েই তিনি হয়ে উঠেছেন প্রোটিয়া আক্রমণের অন্যতম স্তম্ভ।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link