গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড এবার বাদ পড়েছে সেমিফাইনাল থেকেই। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ খেলা দলটি সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে বাদ যাওয়া নিয়ে তাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘এভাবে হেরে বিদায় নেয়াটা কষ্টকর। আমরা টুর্নামেন্ট জুড়েই দারুণ খেলেছি কিন্তু নিজেদের ভুলে এভাবে হার, মেনে নেয়াটা কষ্টকর।’
উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানের জয়, সাথে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়েই সুপার টুয়েলভ থেকে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড। শুধু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এর তকমা নয়, নিজেদের হোম কন্ডিশনের মতই অস্ট্রেলিয়ার পরিচিত কন্ডিশন, সব মিলিয়েই পুরো সুপার টুয়েলভের সব ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের খেলার যে ধরণ ছিল, তাকে একদম ‘ক্লিনিক্যাল’ বলা চলে। বড় বড় ক্রিকেট বোদ্ধাদের সাথে দুনিয়া জুড়ে কিউই সমর্থকরাও এবার আশা করেছিল, হয়ত ব্ল্যাকক্যাপদের ট্রফি খরাটা হয়ত এবার কাটবে কেন উইলিয়ামসনের হাত ধরে।
কিন্তু তা হয়নি। প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড সেই চিরাচরিতভাবে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে। সাথে বেড়েছে কিউই ভক্ত সমর্থকদের ট্রফি জয়ের আক্ষেপও। এই হতাশা ছুঁয়েছে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকেও। ম্যাচ পরবর্তী পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের হতাশা লুকাননি উইলিয়ামসন।
তিনি বলেন, ‘এভাবে হেরে যাওয়াটা মেনে নেয়া সত্যিই কঠিন। খুবই হতাশ লাগছে যে আমরা আরেকটু লড়াই করতে পারতাম।তবে এও ঠিক পাকিস্তান সম্পূর্ণভাবেই আমাদের পরাস্ত করেছে।ম্যাচের শুরু থেকে তারা আমাদের চেপে ধরেছিল। শুরুর দুই উইকেট (অ্যালেন এবং কনওয়ে) তাড়াতাড়ি পরে যাওয়াতে আমরা চাপে পড়েছিলাম। তবে শেষ দিকে মিচেলের অবিশ্বাস্য ইনিংসে আমি মনে করি আমরা ম্যাচে ফিরেছিলাম!’
উইলিয়ামসন আরও বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, ১৫২ খুব ভাল না হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যথেষ্ট রান। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদেরকে শুরু থেকে পাকিস্তানের ওপর চাপ দেয়া লাগত, যেটার জন্য দরকার ছিল দ্রুত উইকেট তুলে নেয়া। দুর্ভাগ্যবশত, যেটা আমরা পারিনি। আর সবাই-ই জানে, বাবর এবং রিজওয়ান দুজনই বিশ্বসেরা ব্যাটার। তাঁরাও আমাদেরকে কোনো সুযোগই দেয় নি। তাদেরকে অবশ্যই অভিনন্দন। তবে আমরা সেমিফাইনাল জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলাম না!’
উইলিয়ামসন আরও যোগ করেন, ‘পুরো রাউন্ড রবিন জুড়েই আমরা ভাল খেলেছিলাম, তাই আজও আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম ভাল করব। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধরণ সম্পর্কেও আমাদের মনে রাখতে হবে ৷ যে কেউ যে কোন দিন জিতে যেতে পারে। কিন্তু আমরা নিজেদের জায়গা থেকে আরও বেশি শৃঙ্খল থাকতে চেয়েছিলাম। যেটা হয়নি।’
ম্যাচে নিউজিল্যান্ড আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৫২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাবর এবং রিজওয়ান এর ১০৫ রানের ওপেনিং জুটিতে ৫ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় লাভ করে পাকিস্তান। আগামী ১৩ নভেম্বর মেলবোর্ন এ পাকিস্তানের মুখোমুখি কে হবে তা জানা যাবে ভারত – ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পর।