এ বছরের মার্চে বাঁ পায়ের গোড়ালিতে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। তখন অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন, বিশ্বকাপে হয়তো খেলা হবে না মহারাজের। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে সেই চোট পাওয়ার পর ভাবা হয়েছিল, মহারাজ বোধহয় এ বছর আর মাঠেই নামতে পারবেন না।
কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে চোট থেকে সেরে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে ঠিকই জায়গা করে নেন কেশব মহারাজ। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার বিশ্বকাপেও নিজের জাত চেনালেন প্রোটিয়া এ বোলার। মহারাজের স্পিনবিষে নীল হয়েছে কিউই ব্যাটাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৫৩ রানের রানপাহাড়ে মাত্র ১৬৭ রানেই গুটিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। প্রোটিয়াদের হয়ে কিউইদের ইনিংসে সেই ভাঙন ধরানোর পথে সবচেয়ে বড় ভূমিকা এ দিন বল হাতে রেখেছেন কেশব মহারাজ। প্রোটিয়া এ স্পিনার একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।
শুরুটা করেছিলেন ড্যারিল মিশেলকে মিলারের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। ২৪ রানে ব্যাট করতে থাকা মিশেল বোলিং প্রান্তে স্পিনার দেখেই সে ওভারের তৃতীয় বলে ডাউন দ্য উইকেটে বেরিয়ে এসেছিলেন। তবে মহারাজের করা সেই বলটি আর বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেননি মিশেল। ব্যাস। নিউজিল্যান্ডের শেষ তুরুপের তাসও বন্দী হয়ে যায় কেশবের স্পিনে।
ড্যারিল মিশেলকে ফেরানোর পরের গল্পটা ছিল শুধুই কেশবময়। মিশেল স্যান্টনার আর জিমি নিশামকে যেভাবে তিনি বোল্ড করেছেন তা রীতিমত চোখে লেগে থাকার মতো। কেশব মহারাজের ঐ এক স্পেলেই কিউইদের ম্যাচ জেতার স্বপ্ন তো দূরে থাক, সামান্য প্রতিরোধ গড়ার সকল পথ ভ্রষ্ট হয়ে যায়।
এরপর ট্রেন্ট বোল্টেরও উইকেট নিয়েছেন কেশব মহারাজ। শেষ দিকে কিছুটা গ্লেন ফিলিপসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কিছুটা খরুচে বোলিং করেছেন কেশব। তবে তাতে প্রোটিয়াদের বড় জয়ের পথে আর বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ১৯০ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ৪৫ রানে ৪ উইকেট নেন কেশব মহারাজ।