পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য যে পাঁচ ব্যাটারের হাতে

এই পাঁচ ব্যাটার যদি তাদের সেরা খেলাটা দেখাতে পারেন, তাহলে  চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিজেদের ঘরেই রেখে দিবে পাকিস্তান। তাঁদের ব্যাটিং শক্তি পাকিস্তানকে শিরোপার লক্ষ্যে পৌঁছাতে বড় ভূমিকা রাখবে।

চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান এবার ঘরের মাঠেই বসাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। স্বাগতিকদের এবারের লক্ষ্য – যে করেই হোক শিরোপা ধরে রাখতে হবে। ব্যাটিং উইকেটে তাঁদের পাঁচ ব্যাটারের সেরা ফর্ম রাখতে হবে। তাহলে কেবল ট্রফি আবার পাকিস্তানেরই হয়ে থাকবে।

  • ফখর জামান

নিজের প্রথম মেজর টুর্নামেন্টেই কিস্তিমাত করেছিলেন ফখর জামান। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৪ ম্যাচে দুই ফিফটি আর এক সেঞ্চুরিতে ৬৩ গড়ে করেছিলেন ২৫৩ রান।

আর ফাইনালে তো ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিতে শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত থেকে। সেই সুখস্মৃতি টেনে আনতেই আবারও পাকিস্তান দলে ফিরেছেন তিনি। ভালো খেলেছিলেন ভারতের মাটিতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। অভিজ্ঞতার ডালা সাজানো ফখরেই তাই আস্থা পাক ক্রিকেটে ভক্ত-সমর্থকদের।

  • বাবর আজম

পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বড় স্তম্ভের নাম বাবর আজম। সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না হলেও ঘরের মাঠে তার এভারেজ আশা দেখাচ্ছে পাক ভক্তদের। দেশের মাটিতে ২২ ম্যাচে ৭৩.৫৫ গড়ে রান করেছেন ১৪৭১। নামের পাশে আট ফিফটির সাথে আছে সাত সেঞ্চুরিও।

দুবাইয়ের মাটিতেও আছে ৬ ম্যাচে প্রায় ৫৬ গড়ে ৩৩৬ রান। নিজেদের দিনে বাবর একাই ঘুরিয়ে দিতে পারেন সমস্ত হিসেব নিকেশ।

  • মোহাম্মদ রিজওয়ান

পাকিস্তান দলের কাপ্তান রিজওয়ানের চওড়া কাঁধে থাকবে রান তোলার দায়িত্বও। ওয়ানডেতে দারুন ছন্দে থাকা রিজওয়ানই পাকিস্তানের বড় আশা ভরসার জায়গা।

সম্প্রতিই অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকায় গিয়ে পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজ জিতেয়ে এসেছেন রিজওয়ান। ঘরের মাঠেও ওয়ানডেতে তার গড়টা ৪০ ছাড়িয়ে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আরেক ভেন্যু দুবাইয়েও আছে তিন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। সেখানেই হাঁকিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি।

  • খুশদিল শাহ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সবথেকে বড় চমক হতে পারেন খুশদিল শাহ। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এ ব্যাটে বলে রীতিমতো ঝড় তুলে গেছেন তিনি। ১০ ম্যাচে প্রায় ৬০ গড়ে রান করেছিলেন ২৯৮। স্ট্রাইক রেটটা ১৭৫ থেকেও বেশি। বল হাতেও ভেলকি দেখাচ্ছেন তিনি।

১০ এরও কম গড়ে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। ইকোনমি রেট মোটে ছয়। ব্যাটে-বলে ধারাবাহিক পারফর্ম করে ২০২২ সালের পরে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছেন তিনি। নিশ্চয়ই নিজের এই দুর্দান্ত ফর্মটা টেনে নিতে চাইবেন আইসিসির এই মেগা ইভেন্টেও।

  • উসমান খান

পাকিস্তানের হয়ে এখনো ওয়ানডেতে অভিষেক হয়নি উসমান খানের। তবে সায়েম আইয়ুবের ইনজুরিতে পাকিস্তানের ওপেনিং পজিশনটা এখনো টালমাটাল। সম্প্রতিই বিপিএলে ওপেনিংয়ে নেমে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ানো উসমানকে তাই বাজির ঘোড়া বানাতে পারে পাকিস্তান।

Share via
Copy link