ক্রিকেটারদের কারাগারে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তরুণ মোহাম্মদ আমির কিংবা কিংবদন্তি ইমরান খান সবাই পেয়েছেন কারাভোগের স্বাদ। তবে সেসব ঘটনাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে এবার; পাকিস্তানের সাবেক এক ক্রিকেটার মুখোমুখি হয়েছেন গুরুতর সাজার – তিনি খালিদ লতিফ।
নেদারল্যান্ডসের একটি আদালত খালিদ লতিফকে ১২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। ডাচ ডানপন্থী এক নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্সের খুনের ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি; ওয়াইল্ডার্সের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই ক্রিকেটারের নামে।
তবে খালিদ লতিফ রায় দেয়ার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাই তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সাজা জারি করা হয়, ডাচ আদালত লতিফকে হত্যার প্ররোচনা, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং গির্ট ওয়াইল্ডার্সকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
প্রসিকিউটররা জানান যে, খালিদ লতিফ একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যাতে তিনি গির্ট ওয়াইল্ডার্সকে হত্যার জন্য প্রায় ২১০০০ ইউরো পুরস্কারের প্রস্তাব করেছিলেন।
এই ভিডিওর ব্যাপারে আদালত বলে যে, খালিদ লতিফের ভিডিও বার্তায় একজন ডাচ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ঘৃণা এবং হুমকিতে প্রত্যক্ষ প্রভাব রেখেছিল। আর সেই কারণে জনগণ কতৃক নির্বাচিত একজন প্রতিনিধির প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করা আরও কঠিন করে তুলেছিল।’
এছাড়া প্রদত্ত সাজার ব্যাপারে ডাচ বিচারক বলেন, এই শাস্তির মধ্য দিয়ে আদালত একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের উদ্দেশ্য রয়েছে। এটা শুধুমাত্র এই অপরাধীদের কাছেই নয়, অন্যদের কাছেও স্পষ্ট হওয়া উচিত যে যেকোনো ঘৃণ্য অপরাধের কারণে উচ্চ সাজা ভোগ করতে হতে পারে।’
তবে পাকিস্তানের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের বন্দি বিনিময় সম্পর্কিত কোন চুক্তি নেই। কিন্তু খালিদ লতিফ বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন, তাই তাঁকে সহসা শাস্তির আওতায় আনা যাচ্ছে না।
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:)-কে কেন্দ্র করে একটি কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করার পরিকল্পনা করে ইসলামপন্থীদের আক্রোশে পড়েন গির্ট ওয়াইল্ডার্স। এবং এটা নিয়ে এই রাজনীতিবিদ একটি ভিডিওটি প্রকাশও করেছিলেন। যদিও পরে সেটা বাতিল করা হয়েছিল।