যাকে চেয়েছে, তাকেই দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মিনি নিলামে তারা বসেছিল পুরো দলকে নতুন করে সাজানোর উদ্দেশ্য নিয়ে। চড়া সব দর হাঁকিয়ে, খেলোয়াড়দের নিজেদের করে নিয়েছে। গেল আসরের ব্যর্থতা যে করেই হোক ঘোচাতে চায়, নাইটরা। তাইতো অর্থ খরচে কার্পণ্য করেনি ফ্রাঞ্চাইজিটি।
সর্বোচ্চ ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তারা দলে নিয়েছে ক্যামেরুন গ্রিনকে। মিনি নিলামের সবচেয়ে বড় ক্রয়। এমনকি গ্রিনকে ইতিহাসের পাতায় তুলে দিয়েছে কলকাতা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বিদেশি হিসেবে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়ার রেকর্ড। এরপর তারা মাথিশা পাথিরানাকে নিতে খরচ করেছে ১৮ কোটি রুপি। মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে নিয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে।
তিন খেলোয়াড় কিনতেই তাদের ৬৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার ঝুলি নেমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯০ লাখে। এই স্বল্প অর্থেও তারা আরও দশজন খেলোয়াড়কে নিয়েছে দলে। রাচিন রবীন্দ্র, টিম সাইফার্টদের বেশ স্বল্প মূল্যে নিজেদের পতাকাতলে নিয়ে এসেছে কলকাতা। রাচিনের জন্য তাদের খরচ ২ কোটি, সাইফার্টকে পেয়েছিল তারা ১ কোটি ৫০ লাখে। ফিন অ্যালেনের জন্য ২ কোটি ব্যয় হয়েহে কলকাতার।

দলটিতে বিদেশিদের মধ্যে আগে থেকে রয়েছেন সুনীল নারাইন, রভম্যান পাওয়েল। আট বিদেশির কোটা পূরণ করে, কার্যকর দেশীয় খেলোয়াড়দেও দলে নিয়েছে দলটি। আনক্যাপড ব্যাটার তেজস্বী সিংকে দলে নিতে ৩ কোটি অবধি খরচ করেছে নাইটরা। স্রেফ ৭৫ লাখ রুপিতে আবার দলে ফিরিয়েছে রাহুল ত্রিপাঠিকে।
স্বদেশী পেসার আকাশ দ্বীপকে ১ কোটি রুপির বিনিময়ে দলে নিয়েছে দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা। হাতে থাকা অর্থের পরিপূর্ণ ব্যবহার করেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। বর্তমান স্কোয়াড বিবেচনায়, তাদের একাদশের একটা রুপরেখা দাঁড় করানো যায়- চ্যাম্পিয়ন হওয়া বেশ দূরের লক্ষ্য, কিন্তু গেল আসরের ব্যর্থতা ভুলে প্লে-অফ অবধি যাওয়ার পথটা মসৃণ হতে পারে।
যেহেতু চার বিদেশি খেলানোর নিয়ম রয়েছে, সেদিকটা থেকে টিম সাইফার্ট কিংবা সুনীল নারাইন হতে পারে ওপেনিংয়ে সমাধান। যদিও এখনও আর পিঞ্চ হিটার নারাইন কে ওপেন করতে দেখা যায় না খুব একটা। তবে দুই থেকে চার এই পজিশনগুলোতে স্বদেশী ক্রিকেটারদের দিয়েই সাজাতে পারবে নাইটরা।

দুইয়ে আঙকৃষ রঘুবানশি, তিনে আজিঙ্কা রাহানে, চারে তেজস্বী সিং কিংবা রাহুল ত্রিপাঠি। এরপর সেই নয়নের মণি ক্যামেরুন গ্রিন। তার সাথে ফিনিশিং দায়িত্ব সামলাতে থাকবেন রিঙ্কু সিং। যদি নারাইন ওপেনিং করেন, তবে রামানদ্বীপ সিংয়ের আগে-পরে রভম্যান পাওয়েলকে খেলাতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। পাথিরানা ও মুস্তাফিজকে বদল করে খেলানোর সুযোগ থাকছে নাইটদের সামনে।
বোলিং আক্রমণে আরও থাকছেন হার্শিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী। ইম্প্যাক্ট সাব হিসেবে পরিস্থিতি অনুযায়ী আকাশ দ্বীপকে ব্যবহার করতে পারবে নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় পরিবর্তনের পর্যাপ্ত সুযোগও হাতে আছে কলকাতার। উপসংহারে তাই বলতে হচ্ছে, সর্বোচ্চ অবশিষ্ট অর্থের যথার্থ ব্যবহারই করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।











