রাহুলের তামিল ভাষায় বিভ্রান্ত হলেন বশির

ক্রিকেটের বাইশ  গজে শুধু ব্যাট হাতে নয়, উপস্থিত বুদ্ধিতেও একধাপ ওপরে লোকেশ রাহুল। একই সঙ্গে দারুণ একজন ‘মাইন্ড-রিডার’ তিনি। লিডস টেস্টের তৃতীয় দিনে ইংলিশ স্পিনার শোয়েব বশিরকে নিজের বুদ্ধিমত্তায় ফাঁদে ফেলে সেটাই হয়তো প্রমাণ দিলেন। নিজের ভাষা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করলেন।

ক্রিকেটের বাইশ  গজে শুধু ব্যাট হাতে নয়, উপস্থিত বুদ্ধিতেও একধাপ ওপরে লোকেশ রাহুল। একই সঙ্গে দারুণ একজন ‘মাইন্ড-রিডার’ তিনি। লিডস টেস্টের তৃতীয় দিনে ইংলিশ স্পিনার শোয়েব বশিরকে নিজের বুদ্ধিমত্তায় ফাঁদে ফেলে সেটাই হয়তো প্রমাণ দিলেন। নিজের ভাষা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করলেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন তখন, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত। লিডটা তখন খুব বেশি ছিল না। ইনিংসের শুরুতেই আউট হয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল। তার জায়গায় ক্রিজে আসেন তামিলনাড়ুর ব্যাটার সাই সুদর্শন। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্যতেই ফিরতে হয় তাঁকে, ফলে নিজেকে প্রমাণ করার বড় সুযোগ ছিল এ ইনিংসেই।

বাঁহাতি সুদর্শন ক্রিজে আসতেই ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস আক্রমণে আনেন ডানহাতি অফ-ব্রেক স্পিনার শোয়েব বশিরকে— ম্যাচ-আপকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন স্টোকস। ঠিক তখনই রাহুল সুদর্শনকে একটা বার্তা দিতে চাইলেন। কিন্তু সেটা ইংরেজি বা হিন্দিতে বলা যেত না, কারণ পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বশির এই দুই ভাষাই বোঝেন।

তখনই রাহুল কাজে লাগালেন নিজের বুদ্ধিমত্তা। তিনি সুদর্শনকে তামিল ভাষায় কিছু নির্দেশনা দেন— কিভাবে বশিরকে সামলাতে হবে। যা ইংল্যান্ড দলের কেউই বুঝতে পারেননি। রাহুলের সেই বার্তাটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগে সুদর্শনের, নিখুঁতভাবে সামাল দেন বশিরকে।

এটাই অবশ্য প্রথম নয়, আগেও এমনটা করেছেন শচীন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়। এক সাক্ষাৎকারে তারা জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার সময় হিন্দি বা ইংরেজি নয়, তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলতেন মারাঠিতে— কারণ ওই ভাষা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অজানা ছিল।

ক্রিকেটটা শুধু ব্যাট বলের লড়াই নয়, কখনো কখনো নিজের দক্ষতা এবং মস্তিষ্কের ব্যবহারটাও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। সামান্য কিছুও হয়ে উঠতে পারে দলের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। ঠিক যেমনটা করে দেখালেন লোকেশ রাহুল।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link