শতক গড়েও পাকিস্তানে হাসির পাত্র কোহলি

একই ম্যাচে দুই জনই পেয়েছে শতকের দেখা। তবে একজন ভাসছেন প্রশংসায়, আরেকজন হয়েছেন হাস্যরসের পাত্র। বলা হচ্ছে, জশ বাটলার এবং বিরাট কোহলির কথা।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালস জয় পায় ৬ উইকেটে। বেঙ্গলুরুর দেয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ৫ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় সাঞ্জু স্যামসনের দল।

তবে বেঙ্গলুরুর হয়ে বিরাট কোহলি আর রাজস্থানের হয়ে জশ বাটলার উভয়েই পান শতকের দেখা। তফাৎটা শুধু বলের সংখ্যায়। বিরাট কোহলি তাঁর এই শতকের দেখা পেতে খরচ করেন ৬৭ বল। যা আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ধীর গতির শতকে পরিণত হয়। তবে এর আগে ২০০৯ সালে মানিশ পান্ডেও ৬৭ বলে পেয়েছিলেন শতকের দেখা।

ঐ ম্যাচে কোহলির স্ট্রাইক রেট আর আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানি ক্রিকেটার জুনায়েদ খান তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোহলিকে নিয়ে রীতিমত হাস্যরসই করলেন।

তিনি কোহলির এই শতককে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ধীরগতির শতক হিসেবে আখ্যায়িত করন। তিনি লিখেন, ‘আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ধীর গতির শতক পূরণের জন্য বিরাট কোহলিকে শুভেচ্ছা।’

পিচের অবস্থা অনুকূলে না থাকায় কোহলি তাঁর ইনিংসের মাঝ পথে বাঁধার সম্মুখীন হয়। ফ্ল্যাট উইকেট থাকা স্বত্বেও রান করা এতটাও সহজ ছিল না বলে জানান কোহলি। ৭২ বলে ১১৩ রানে অপরাজিত থেকে তাঁর ইনিংস শেষ করেন কোহলি। যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৬.৯৪ এবং মোট ১২ টি চারের সাথে হাঁকান ৪ টি ছক্কা।

যাইহোক, সবার দৃষ্টি কোহলির পারফরম্যান্স থেকে সরে যায় ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে। কেননা, রাজস্থানের হয়ে বাটলার শতক পূরণ করেন মাত্র ৫৮ বলে। ৯ টি চার আর ৪ টি ছক্কায় ১৭২.৪১ স্ট্রাইক রেটে বাটলার সাজান তাঁর এই বিধ্বংসী ইনিংস।

অর্থাৎ কোহলি থেকে ৯ টি বল কম খেলেই বাটলার তাঁর শতক পূরণ করেন। বাটলারও অপরাজিত থেকে শেষ করেন তাঁর ইনিংস। কোহলির ঝুকি না নিয়ে দীর্ঘ ইনিংস খেলার এই মানসিকতা ভাবাচ্ছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে, সেই তাঁর ভক্তদেরও।

কেননা, আগামী জুনেই হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আর টি-টোয়েন্টিতে ঝুঁকি নিয়ে খেলার প্রবণতা ভালো মানের ক্রিকেটারদেরই বেশি থাকতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link