বাংলাদেশের সৈকতের বদান্যতায় প্রথম বলেই লাইফ পান কোহলি

স্মিথ মনে করেন কোহলি আউটই ছিলেন। লাঞ্চের সময় ব্রডকাস্টারকে তিনি বলেন, ‘আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে বলটা ধরেছি। আঙুল আমার বলের নিচেই ছিল। কিন্তু আম্পায়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরা তা মেনে নিয়েছি।’

সিডনিতে প্রথম বলেই আউট হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন বিরাট কোহলি।  স্লিপে ক্যাচ। হতাশায় ড্রেসিংরুমে লাফ দিয়ে ওঠেন রোহিত শর্মা। তবে, বেঁচে যান মেলবোর্নে ভারতের চক্ষুশ্যূল হওয়া শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের বদান্যতায়।

বিরাটকে ইনিংসের প্রথম বলটি করেন স্কট বোলান্ড। অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে থাকা বলে খোঁচা দেন বিরাট। বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো স্টিভ স্মিথের হাতে। তাঁকে ঘিরে উল্লাস করেন অজি দল।

ক্যাচ ঠিক ভাবে নেওয়া আদৌ হয়েছে কি না – তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মাঠের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা। তিনি সিদ্ধান্ত নিতে দ্বারস্থ হন তৃতীয় আম্পায়ারের। সেই সময় বল মাটিতে ঠেকে যায় বলে তৃতীয় আম্পায়ার মনে করেন।

সেই দায়িত্বে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের জোয়েল উইলসন। তিনি প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বার বার রিপ্লে দেখেন। পরবর্তীতে নট আউটের সিদ্ধান্ত নেন।

ভারতের স্কোর তখন ১৭/২। দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং লোকেশ রাহুল আউট হয়ে গিয়েছেন। এমন অবস্থায় বিরাটের উইকেট গেলে সমস্যা বাড়ত ভারতের।

তবে, স্মিথ মনে করেন কোহলি আউটই ছিলেন। লাঞ্চের সময় ব্রডকাস্টারকে তিনি বলেন, ‘আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে বলটা ধরেছি। আঙুল আমার বলের নিচেই ছিল। কিন্তু আম্পায়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরা তা মেনে নিয়েছি।’

যদিও, কোহলি আবারও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। যথারীতি অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খোঁচা দিতে গিয়ে আউট হন উইকেটের পেছনে ক্যাচ হয়ে। রান করেন ১৭ টি!

Share via
Copy link