বন্ধু তুমি, শত্রু তুমি। ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা তাঁরা। ভারতীয় গণমাধ্যম সকালে তাঁদের বন্ধু বানায়, বিকালে বানায় শত্রু। তবে, দল যখন চায় – তখনই দাঁড়িয়ে যেতে জানেন তাঁরা।
সাম্প্রতিক সময়ে দু’জনই কাটিয়েছেন নিজেদের ক্যারিয়ারের ভয়াবহ দু:সময়। রোহিত শর্মা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) হারিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কের দায়িত্ব। অথচ, এই দলটাকেই পাঁচবার আইপিএলের শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি এনে দেন তিনি।
অন্যদিকে, বিরাট কোহলি আরেকবার ব্যর্থ হয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে। অনেক সমীকরণ শেষে প্লে-অফে পৌঁছাতে পেরেছিলেন বটে। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। আবারও আইপিএলের শিরোপা থেকে যায় তাঁর ধরাছোয়ার বাইরে।
তারপরও অরেঞ্জ ক্যাপটা উঠেছে তাঁরই মাথায়। তাতে কি, সমালোচনার তো শেষ নেই। বিরাট কোহলি নাকি টি-টোয়েন্টিতে অচল, এই স্ট্রাইক রেট আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে চলে না। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে স্যোশাল মিডিয়া – সব জায়গাতেই একই রব।
তাঁর জায়গায় চেন্নাই সুপার কিংসের রুতুরাজ গায়কড়, কিংবা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অভিষেক শর্মাদের সুযোগ দেওয়ার কথাও বলছিলেন কেউ কেউ। তবে, বিরাট ছিলেন অবিচল। জবাব দেওয়ার মঞ্চ খুঁজছিলেন বিশ্বকাপের মঞ্চে।
কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। রানের খাতা যখন কেবলই খুলেছেন তখনই ফিরলেন সাজঘরে। একটা রান তুলতেই খেলে ফেলেন পাঁচটা ডেলিভারি। যে মামুলি টার্গেটের সামনে ভারত ব্যাট করতে নামে – তাতে এটা বড় কোনো সমস্যা নয় – তবে বড় ম্যাচে এমন ব্যাটিং বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এমনটা হয়ত ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এবারের বিশ্বকাপে এমন বৈরী উইকেটেই হবে খেলা। সেখানে স্ট্রাইকরেটের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা। এছাড়া ওপেনিং পজিশনে বিরাটের পূর্ব অভিজ্ঞতাও বেশ ভালই বলা চলে। সেদিক বিবেচনায় এক ম্যাচেই বিরাটকে কাঠগড়ায় তোলা হবে বোকামি।
গোটা আইপিএল জুড়ে রান করেছেন বিরাট কোহলি। বহুবার দলের হাল ধরেছেন। তাছাড়া ভারতের ওপেনিং পজিশনে রোহিত শর্মা বরাবরই আগ্রাসী। তার সাথে একজনের অ্যাংকরিং রোল পালন করতেই হতো। সেদিক থেকে যথেষ্ট যোগ্য পছন্দ বিরাট কোহলি। এখনই সমালোচনার সমুদ্রে তাকে ঠেলে দেওয়ার সময় হয়নি।