চিন্নাস্বামীর মাঠ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাস। সেই ইতিহাসের নায়ক বিরাট কোহলি। আইপিএলের মঞ্চে এই মাঠে কোহলির চেয়ে বেশি আর কারও রান নেই। শুধু এই মাঠ নয়, আইপিএলে ভারতের অন্য কোনো ভেন্যুতেও নেই। তবে, এবারের আইপিএলে, শুরু থেকেই ঘরের মাঠে নিষ্প্রাণ ছিল কোহলির মাঠ।
অথচ, রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এই আইপিএলেই আরও চারটা হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। চারটাই পরের মাঠে। ব্যাঙ্গালুরুতে খেলতে নামলেই আর পারছিলেন না কোহলি, হাসছিল না তাঁর ব্যাট। ফরে, নিজেদের ভেন্যুতে বারবার জয় বঞ্চিত হচ্ছিল ব্যাঙ্গালুরুর।
কিন্তু, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই তো বের হয়ে আসে কোহলির আসল চেহারা। এবার রাজস্থান রয়্যালসের সামনে সেই চেহারাটা আরেকবার দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। আবারও নায়ক বনে গেলেন কোহলি। হতাশার বাঁধ ছিড়ে তিনি বের হয়ে আসলেন। ৪২ বলে ৭০ রান করলেন, ১৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে।
প্রিয় চিন্নাস্বামীতেই যেন নিজেরই ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করলেন কোহলি। রানের খরা, চাপ, ব্যর্থতার গুজব—সব কিছু ছিন্ন করে তিনি নামলেন এক রাজকীয় অভিযানে। না, কোনো রোমাঞ্চকর টি-টোয়েন্টি ঝড় নয়, বরং পরিকল্পনা মাফিক গড়া এক শিল্পকর্মের মতো ইনিংস।
এই ইনিংসটা শুধু ব্যাট হাতে কোহলির জবাব ছিল না, ছিল ঘরের মাঠের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার চূড়ান্ত বহি:প্রকাশ। চিন্নাস্বামীর গ্যালারিতে যেন দীর্ঘশ্বাসের বদলে ফিরলো হর্ষধ্বনি। ব্যাঙ্গালুরুর হৃদয় ফিরে পেল তার হারানো স্পন্দন।
ব্যাঙ্গালুরুর উইকেটে তাঁর কাছে দলের চাহিদা যা ছিল সেই চাহিদা বুঝেই ব্যাট করলেন। স্টেপ আউট করতে জানেন বলেই নামটা বিরাট কোহলি। কোহলির সুবাদেই তো রাজস্থানের বিপক্ষে ‘রাজকীয়’ ভিত্তি পেয়ে গেল রয়্যালস বাহিনী! এই ভিত্তিটাই কোহলির স্টেটমেন্টের প্রতীক।