একপেশে জয়ে খুলনার চারে চার

জয় ছাড়া যেন আর কোন রাস্তা চেনা হয়নি খুলনা টাইগার্সের। এবারের বিপিএলে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচেও জয়ের হাসি হেসেছে তাঁরা। বোলারদের দাপুটে প্রত্যাবর্তনের পর টপ অর্ডারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ঢাকাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। এই ম্যাচে কোন বিভাগেই বলতে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি ঢাকা।

ঢাকার ব্যাটিং ইনিংসকে অবশ্য দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমভাগে দুই ওপেনার নাইম শেখ এবং সাইম আইয়ুব খুলনার বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রান তুললেও কোন উইকেট হারাতে দেননি তাঁরা; পাওয়ার প্লে শেষ হতেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নাইম, তাঁর ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংসে নয় ওভারে ৭৫ রান জমা হয় বোর্ডে।

কিন্তু নবম ওভারের শেষ বলে তিনি আউট হওয়ায় বাঁধে বিপত্তি, হুট করেই পথ হারিয়ে বসে তাঁর দল। কয়েক ওভারের ব্যবধানে বাকি সব স্বীকৃত ব্যাটার ফিরে যান সাজ ঘরে। ৯৬ রানে ছয় উইকেটের পতন ঘটলে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় তবু ভরসা হয়ে বাইশ গজে ছিলেন অ্যালেক্স রস।

কিন্তু ১৪ বলে ২১ রান করে তিনি ফিরলে থেমে যায় মোসাদ্দেকদের ইনিংস। লোয়ার অর্ডারে আরাফাত সানির ১৫ রানের কল্যাণে কোনক্রমে ১৩০ রানের পুঁজি পায় তাঁরা।

স্বল্প রান ডিফেন্ড করতে অবিশ্বাস্য কিছু করতো হতো তাসকিন, শরিফুলকে। কিন্তু অবিশ্বাস্য কিছু করা দূরে থাক, এভিন লুইসের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন তাঁরা। এই উইন্ডিজ ব্যাটারের সঙ্গে যোগ দেন বিজয়ও; দুজনের তান্ডবে প্রথম ছয় ওভারে ৬৬ রান তোলে খুলনা।

এরপর অবশ্য ঢাকার জন্য স্বস্তি হয়ে আসে লুইসের ইনজুরি, রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছুই, তিন নম্বরে নামা আফিফ হোসেন কোন সুযোগ দেননি ম্যাচে ফেরার। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বাকি পথ পাড়ি দেন খুলনার অধিনায়ক।

শেষপর্যন্ত ৪৮ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, আর আফিফ মাঠ ছাড়েন ৩৭ রান করে। তাঁদের এমন ব্যাটিংয়ের কল্যাণে দশ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারের লজ্জা পায় নাইম, সৈকতরা। আর টেবিলে সবার উপরে উঠে আসে টিম টাইগার্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link