অজি বধের ‘আন্ডাররেটেড’ নায়ক কুলদীপ

লেগ স্পিনার মানেই বিশেষ এক শিল্পী, যারা কব্জির মোচড়ে বদলে দিতে পারেন ম্যাচের গতিপথ। কুলদীপ যাদবও তেমনই একজন; ভোজবাজির মতই মোমেন্টাম বদলে দিতে জানেন। এইতো চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচও খেলেননি, অথচ সুপার এইটের সবগুলো ম্যাচেই দলের অন্যতম সেরা পারফরমার তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও তাঁর বোলিং ছিল দুর্দান্ত।

মাঝের ওভারেই বেশি ডাক পড়ে এই বোলারের, প্রতিপক্ষের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেয়া কিংবা টপ অর্ডারের কোন ব্যাটার সেট হলে তাঁকে আউট করা এসবই চাওয়া তাঁর কাছে। তিনি ঠিক সেটাই করে চলছেন প্রতিটি ম্যাচে, ব্যতিক্রম হয়নি অস্ট্রেলিয়ার সাথেও।

এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২৪ রান দিয়েছেন এই বাঁ-হাতি, রান বন্যার ম্যাচে স্রেফ ছয় ইকোনমিতে বল করা কতটা দারুণ ব্যাপার সেটা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ দুই দুইটি উইকেটও ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। উড়ন্ত সূচনা পাওয়া সত্ত্বেও অজিরা পথ হারিয়েছে মূলত তাঁর কারণেই।

সপ্তম ওভারে যখন কুলদীপ আক্রমণে আসেন তখন বাইশ গজে দাপট দেখাচ্ছিলেন মিচেল মার্শ আর ট্রাভিস হেড। কিন্তু তিনি বল হাতে নিতেই উত্তাপ কমে এলো, প্রথম ওভারে দিলেন কেবল তিন রান। এরপর নবম ওভারে এক রান বেশি খরচ করলেও শিকার করেছিলেন মার্শের উইকেট – অথচ ষষ্ঠ আর অষ্টম ওভার থেকে এসেছিল ৩১ রান!

পরের দুই ওভারে দুই বাউন্ডারি হজম করেছিলেন এই চায়নাম্যান, কিন্তু বিধ্বংসী গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে কাজের কাজটা করে দিয়েছেন ঠিকই। দুই ইনিংস মিলিয়ে রান হয়েছে ওভারপ্রতি প্রায় দশ করে, অথচ তিনি পুরো স্পেল জুড়ে কিপ্টেমির প্রদর্শনী ঘটালেন।

সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলেই সাত উইকেট শিকার করেছেন এই তারকা। জাসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিংয়ের সঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছেন অপ্রতিরোধ্য এক বোলিং লাইনআপ। এখন শুধু দুই ম্যাচের অপেক্ষা, এ দুই ম্যাচে ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেই আকাঙ্খিত মুহূর্তের স্বাদ পাবে টিম ইন্ডিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link