পর্বতসম দৃঢ়তার কুশল লঙ্কানদের দিয়েছে অক্সিজেন

অবশেষে কুশল মেন্ডিসের আক্ষেপের প্রহর শেষ হল। পাল্লেকেলে কুশল মেন্ডিসের বেশ পছন্দের ভেন্যু। তবে এই ভেন্যুতে এর আগে সাতটি অর্ধশতক হাঁকালেও, সেঞ্চুরি ছিল না একটিও। একটি ম্যাচে অপরাজিত থেকেছিলেন ৯৪ রানে। কুশল মেন্ডিসের সেই আক্ষেপ যেন ঘুচল বাংলাদেশের বিপক্ষে।

অবশেষে কুশল মেন্ডিসের আক্ষেপের প্রহর শেষ হল। পাল্লেকেলে কুশল মেন্ডিসের বেশ পছন্দের ভেন্যু। তবে এই ভেন্যুতে এর আগে সাতটি অর্ধশতক হাঁকালেও, সেঞ্চুরি ছিল না একটিও। একটি ম্যাচে অপরাজিত থেকেছিলেন ৯৪ রানে। কুশল মেন্ডিসের সেই আক্ষেপ যেন ঘুচল বাংলাদেশের বিপক্ষে।

পাহাড়ের পাদদেশে সবুজে ঘেরা চোখ জুড়ানো এক স্টেডিয়ামে। প্রেসবক্সে বসে খেলায় মনোযোগ রাখা ভীষণ কষ্টকর। মেঘের ভেলা আর সবুজ চাদরে ঢাকা পাহাড় মনোযোগ কেড়ে নেয় অজান্তেই। কিন্তু অবচেতন মন বারংবার ফিরেছে বাইশ গজে, কুশল মেন্ডিস ফিরতে বাধ্য করেছেন। তার এক একটি বাউন্ডারি উন্মাতাল করে দিয়েছে গ্যালারি।

দেখেশুনে, ফাঁকা জায়গায় বল পাঠিয়ে বেশ ভাবলেশহীন ভঙ্গিমায় বাউন্ডারি আদায় করেছেন কুশল মেন্ডিস। সিরিজ ফিল্ডার পরিবর্তনেও তার রানের চাকা আটকে রাখা যায়নি। তিনি বাধাহীনভাবে ছুটে বেড়িয়েছেন, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দৌড়াতে বাধ্য করেছেন।

পাল্লেকেলেতে থাকা পাহাড় সমান রান জড়ো করেছেন তিনি একেবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে। বাংলাদেশের জন্যে সিরিজ জয়ের রাস্তা প্রায় অবরুদ্ধ করে ফেলতে চেয়েছেন তিনি একা হাতে। একটা প্রান্ত থেকে পর্বতসম দৃঢ়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে যান কুশল মেন্ডিস। তাকে বসে আনতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন টাইগার বোলাররা।

তবে শেষ অবধি বাংলাদেশ দলের ষষ্ঠ বোলার, শামীম হোসেন পাটোয়ারির শিকারে পরিণত হন কুশল। ততক্ষণে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ১২৪ রান। প্রায় ১০৯ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটিতে তিনি বাইশ গজে টিকে ছিলেন ১৯৫ মিনিট। অ্যাকটিভ খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

পরিসংখ্যানের এসব ঠুনকো আলাপ বাদ দিয়ে, আরও একবার কুশল বোঝালেন নিজের সামর্থ্য। পুরো ওয়ানডে সিরিজ জুড়েই তিনি ছিলেন রানের ধারাতে। সেই ঝিড়িপথে আজ যেন লেগেছে প্রবল স্রোত। কুশলের ইনিংসটিই লঙ্কানদের দিয়েছে জয়ের অক্সিজেন।

Share via
Copy link