ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের মাঝে পেশাদারিত্বের অভাব!

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সম্পর্কটা মালিক আর দাসের না। এটা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বজলুর রহমান রতন। সাম্প্রতিক ফর্ম যতই খারাপ হোক, জাকের আলী বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করছেন, এশিয়া কাপে অধিনায়কত্বও করেছেন। বাজে সময়ে সমর্থকরা সমালোচনা করবে এটা স্বাভাবিক, তাই বলে একজন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক প্রকাশ্যে যা খুশি বলে ফেলতে পারেন না।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সম্পর্কটা মালিক আর দাসের না। এটা বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বজলুর রহমান রতন। সাম্প্রতিক ফর্ম যতই খারাপ হোক, জাকের আলী বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করছেন, এশিয়া কাপে অধিনায়কত্বও করেছেন। বাজে সময়ে সমর্থকরা সমালোচনা করবে এটা স্বাভাবিক, তাই বলে একজন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক প্রকাশ্যে যা খুশি বলে ফেলতে পারেন না।

নোয়াখালী ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করে অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশকে। সেই অনুষ্ঠানে বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, দলটির অধিনায়ক হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে? সে প্রশ্নের উত্তরে বজলুর রহমান অকপটে বলে দিলেন, ‘জাকের আলীকে অধিনায়ক হিসেবে আমার পছন্দ না।’ যা একজন খেলোয়াড়ের জন্য একেবারেই অপমানজনক।

সবাইকে যে সবার পছন্দ হবে, এমনটা অবশ্য কোথাও লেখা নেই। তবে একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে নিয়ে এমন কথা বিবেচনা না করে বলে ফেলা মোটেও সমীচীন নয়। শুধু জাকের আলী কেন, অন্য যে কোনো পর্যায়ের খেলোয়াড়কে নিয়ে এভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষের কেউ বলতে পারেন না।

এখানেই প্রশ্ন ওঠে পেশাদারিত্বের। প্রশ্ন ওঠে কাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে দায়িত্বভার? যারা ঠিকঠাক সম্মান জানাতে পারে না খেলোয়াড়দের, তাদের হাত ধরে কিভাবে চলবে বিপিএল? শুধু তাই নয়, দলের কোচের নামটাই গুলিয়ে ফেলেছিলেন বজলুর রহমান।

অবশ্য বিপিএলে এমন সব অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড ঘটবে এটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা। বিতর্ক, সমালোচনা, অপেশাদারিত্ব—এসবই তো সঙ্গী করে বিপিএল চলে আপন গতিতে। তাই তো বজলুর রহমানদের এমন অপেশাদার আচরণ খুবই স্বাভাবিক পর্যায়ের ঘটনা, কেননা বিপিএলটাই তো চলছে অদ্ভুত উটের পিঠে চড়ে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link