বলের কাছে গিয়ে একটু থামলেন, মার্কো বিজট ততক্ষণে লাফ দিয়ে ফেলেছেন। রবার্ট লেওয়ানডস্কির জন্য তাই কাজটা হয়ে গিয়েছিল একেবারে সহজ, প্রায় ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলে দিয়ে স্কোরবোর্ডে নাম তুললেন তিনি। সেই সাথে নাম তুললেন ইতিহাসের পাতায়ও, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে অনন্য একটা জায়গায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করলেন তিনি।
ফরাসি ক্লাব ব্রেস্টোইসের বিপক্ষে দশ মিনিটের মাথায় পেনাল্টিতে গোল করেছিলেন এই স্ট্রাইকার, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটিই ছিল তাঁর শততম গোল। কেবল তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে টুর্নামেন্টে মোট গোলসংখ্যা তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এর আগে কেবল লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পেরেছিলেন এমন কীর্তি গড়তে।
মর্যাদার রেকর্ড গড়ার দিনে এই পোলিশ অবশ্য এক গোলে সন্তুষ্ট ছিলেন না। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে গোল করে পূর্ণ করেছিলেন নিজের ব্রেস। আর তাতেই বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
বাম দিক থেকে বল নিয়ে উঠে আসেন অ্যালেক্স বালদে, বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডার ততক্ষণে তাঁর পিছনে পড়ে গিয়েছিল। যদিও তিনি গোলমুখে শট না নিয়ে কাটব্যাক করেন লেওয়ানডস্কির উদ্দেশ্যে; দারুণ দক্ষতায় পাসটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি।
এই নিয়ে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ২২ গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। লা লিগার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার চেয়ে নয় গোল এগিয়ে আছেন তিনি। সেটাও আবার স্রেফ ১৯ ম্যাচে – অতিমানবীয় বললেও কম বলা হয় আসলে। প্রতি ম্যাচে গড়ে একটার বেশি গোল জুটেছে তাঁর ভাগ্যে।
হ্যান্সি ফ্লিক দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিধ্বংসী এক বোমা হয়ে উঠেছেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। গত মৌসুমে ৪৯ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ২৬ গোল, এবার তো অর্ধেক মৌসুম পার হওয়ার আগেই সেই মাইলফলক প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন।
তাঁর জোড়া গোলের পাশাপাশি ফরাসি ক্লাবটির বিপক্ষে স্কোরবোর্ডে নাম তুলেছেন দানি অলমো, ড্রিবলিংয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ছিন্নভিন্ন করে তবেই গোল করেছেন তিনি – সবমিলিয়ে স্বস্তি ফেরানো একটা পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে ব্লাউগানা জার্সিধারীদের কাছ থেকে। সেল্টা ভিগোর ম্যাচটা আত্মবিশ্বাসে যেন চিঁড় ধরাতে না পারে সেজন্য এই জয়টা বড্ড প্রয়োজন ছিল।