আর প্রেমাদাসায় দৌঁড়ে নেটে ঢুকলেন পারভেজ হোসেন ইমনের পরই। বোলিং করছিলেন তখন একাদশের বাইরে থাকা দুই স্পিনার, নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান। প্রথম বলেই নাসুমকে কাট করলেন, মেহেদীকে করলে গ্লাইড – নান্দনিক শট, প্রখর আত্মবিশ্বাস। এই লিটন দাসকেই এতদিন মিস করেছে বাংলাদেশ দল।
কলম্বোর প্রেমাদাসায় বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ছিল ভরদুপুরে। মাঠে ঢুকেই সেন্টার উইকেটে চলে গেলেন লিটন দাস। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলেন উইকেট। বোঝা গেল, যে কোনো মূল্যেই হোক শেষ টি-টোয়েন্টিতেই জয় নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ। আর সেটা হলে প্রায় দেড় বছর পর কোনো সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ দল।
আর সেই সিরিজ জয়ের পথে বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে লিটন দাসের ফর্ম। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে ডাম্বুলায় লিটন দাসের ৭৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করেই জিতেছে বাংলাদেশ। সমালোচনার মিছিল পেড়িয়ে রানের দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
জিততে হলে লিটনের এই ফর্মটা ধরে রাখতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটনকে সাধুবাদ জানালেন দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। দিলেন জরুরী পরামর্শ। তিনি বলেন, ‘লিটন রানে না থাকলে একটু বেশি ওভারথিঙ্কিং করে। এটা কাটিয়ে উঠতে পারলে ফর্ম আরও ভাল হবে।’
অবশ্য, লিটনের ওভার থিঙ্কিং অযৌক্তিক নয়। বাংলাদেশ দলের অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার তিনি। কিন্তু, সেই প্রতিভার প্রতিফলন ঘটে সামান্যই। চলতি শ্রীলঙ্কা সফরেই ওয়ানডে একাদশে জায়গা হারিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতেও ঝুলে যাওয়ার দুয়ারে ছিলেন।
একটা হাফ সেঞ্চুরি করে, দলকে ম্যাচ জিতিয়ে কক্ষপথে ফিরেছেন। এবার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পালা। লিটন কি সেটা পারবেন? পারলে, এই যাত্রায় টিকে যাবে তাঁর ক্যারিয়ার। টিকে যাবে বাংলাদেশের স্বপ্ন।