দক্ষিণ আমেরিকার ‘আইকন’ লিওনেল মেসি। পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে মেসি একটি অসাধারণ অ্যাসিস্ট করেন। মেসি সেদিন কয়েকজন খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে পাশ কাটিয়ে অগ্রসর হলেন। তারপর সে চমৎকার ভাবে একটি ক্রস ভাসিয়ে দিলেন বক্সের ভিতরে লাওতারো মার্টিনেজের দিকে।
লাওতারোর জন্য বলটি জালে জড়ানো মোটেই সহজ ছিল না। কিন্তু তিনি বাঁ-পায়ের সাহায্যে অসাধারণ দক্ষতায় ভলির মাধ্যমে বলটিকে জালে জড়ান। এটি ছিল মেসির আর্জেন্টিনার হয়ে ৫৮তম অ্যাসিস্ট। এখন তিনি সাবেক মার্কিন ফরোয়ার্ড ল্যান্ডন ডোনোভানের সাথে রেকর্ডের সমতায় চলে এসেছেন।
ডোনোভান যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খেলেছেন। তিনি মোট ১৫৭ টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির হয়ে খেলতেন। এলএ গ্যালাক্সির এই কিংবদন্তির বেশিরভাগ অ্যাসিস্টই এসেছে প্রীতি ম্যাচ বা কনকাকাফ অঞ্চলের দলের বিপক্ষে বাছাই পর্বে।
তিনি দু’টি বিশ্বকাপ সফরে পাঁচটি গোল করেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপে তিনি কোনো অ্যাসিস্টই করতে পারেননি।অন্যদিকে, মেসি বিশ্বকাপে আটটি অ্যাসিস্ট করেছেন। এটি তারই দেশের কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার সাথে যৌথ একটি রেকর্ড।
গত ১৫ বছর ধরে অ্যাসিস্টের সংখ্যা সঠিকভাবে রেকর্ড করা হলেও এই পরিসংখ্যানের যথার্থতা নিয়ে এখনও কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। যেমন, নেইমারের অ্যাসিস্টের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেন তিনি ৫৮ টি অ্যাসিস্ট করেছেন, আবার অন্য সূত্রে পাওয়া যায় ৫৭ টি ।
একবিংশ শতাব্দীতে মেসির অ্যাসিস্টের সংখ্যাকে কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগালের হয়ে করেছেন মোট ৩৭ টি অ্যাসিস্ট। মেসুত ওজিল বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, এবং বুন্দেসলিগায় শীর্ষ অ্যাসিস্টদাতা হলেও জার্মানির হয়ে করেছেন মাত্র ৪০ টি অ্যাসিস্ট। ডেভিড বেকহ্যাম করেছেন ৩৯ টি, আর বেলজিয়ামের কেভিন ডে ব্রুইনে করেছেন ৪৯ টি অ্যাসিস্ট ।
মেসি পরবর্তীতে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন আগামী বছর। আর্জেন্টিনা মার্চে উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলবে। যেখানে তারা মার্সেলো বিয়েলসার দলকে হারিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবে।