উলভারহ্যাম্পটনে নেকড়েরা তখন ঘিরে ধরেছিল লিভারপুলকে, লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠার হাতছানি তাঁদের সামনে অথচ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারবে কি না সেটি নিয়েই তখন শঙ্কা। সেই চাপ মাথায় নিয়ে মোহামেদ সালাহ দাঁড়ালেন স্থির হয়ে, অতঃপর গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে সহজ ভঙ্গিতে গোল আদায় করে নিলেন স্পট কিক থেকে।
তাতেই উলভসের বিপক্ষে ২-১ গোলের রোমাঞ্চকর একটা জয় পেয়েছে অলরেডরা। এর মধ্য দিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে পিছনে ফেলে টেবিলে সবার উপরে উঠে আসলো তাঁরা।
ফলাফল ইতিবাচক হলেও মাঠের পারফরম্যান্সে সমর্থকেরা অবশ্য হতাশ না হওয়ার কোন কারণ নেই। পুরো নব্বই মিনিট জুড়ে দলটির ফরোয়ার্ডরা সত্যিকারের কোন আক্রমনই সাজাতে পারেনি, ম্যাচ উইনিং গোল করেছেন ঠিকই তবে পোস্টার বয় সালাহ এদিন ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। এছাড়া লুইস দিয়াজ, জোতারা ছিলেন বড্ড নিষ্প্রাণ।
ভাগ্যিস, ইব্রাহিমা কোনাতে ছিলেন; বিরতির ঠিক আগে তাঁর হেডারেই তো লিড পেয়েছিল আর্নে স্লটের শিষ্যরা। অথচ উলভস যেভাবে চেপে বসেছিল যেকোনো সময় পিছিয়ে পড়তে হতো তাঁদের, আর সেক্ষেত্রে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন হয়তো দুঃস্বপ্নে রূপ নিতে।
গোল হজমের পরও উলভস লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল আগের মতই। ৫৬ মিনিটের সময় চমক দেখিয়ে ম্যাচে ফিরেছিল তাঁরা, রায়ান এইট নৌরি যখন জালের দেখা পেয়েছিলেন স্বাগতিক শিবিরে তখন জয়ের আশাও বোধহয় জেগে উঠেছিল খানিকটা। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে পেনাল্টি নাটক সেই আশায় জল ঠেলে দেয় একেবারে।
যদিও অলরেড ডিফেন্স লাইনকে ম্যাচের বাকিটা সময় কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। বিশেষ করে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রায়ান গ্রাভেনবার্চ অসাধ্য সাধন করেছেন বটে। তিনটি সফল ট্যাকেল করেছেন, ডুয়েল জিতেছেন আটবার এবং বল রিকোভারি করেছেন ছয়বার – প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু বটে। তাঁর দৃঢ়তায় ভর করেই স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে লিভারপুল।