অক্টোবরের প্রথমদিকে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে মাঠের বাইরে চলে যান অ্যালিসন বেকার, সেই বিরতি কাটিয়ে তিনি ফিরেছেন জিরোনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এতদিন পর মাঠে নামছেন তবু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মত টুর্নামেন্টে তাঁকে খেলাতে এতটুকু দ্বিধা করেননি কোচ আর্নে স্লট। কোচের এমন নিঃশর্ত ভরসার প্রতিদান দিতে অবশ্য ভুল হয়নি তাঁর।
একজোড়া বিশ্বস্ত হাতে অ্যালিসন আগলে রেখেছিলেন লিভারপুলকে। জিরোনার হিংস্র স্ট্রাইকাররা যতবার ছিড়েখুঁড়ে খেতে এসেছিল তাঁদের, ততবারই তিনি নিজের সবটুকু দিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
মিগুয়েল গুতিরেজের জোড়া শট কিংবা ব্রায়ান গিলের প্রচেষ্টা – ম্যাচের একেবারে প্রথমভাগ থেকেই ব্রাজিলিয়ান তারকাকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। তবে চীনের দেয়াল হয়ে সেসব পরীক্ষায় উতরে গিয়েছেন তিনি! পুরো ম্যাচ জুড়ে তাঁর এমন প্রতিরোধ লিভারপুলের জাল অক্ষত রেখেছে, অবশ্য দলের স্টার গোলরক্ষকের কাছে এটাই তো প্রত্যাশিত।
একপ্রান্তে অ্যালিসনের নায়ক হওয়ার দিনে অন্যপ্রান্তে লাইমলাইট খুঁজে নিয়েছেন মোহামেদ সালাহ। সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় জিরোনার বিপক্ষে কিছুটাি ম্লান থাকলেও গোল ঠিকই পেয়েছেন তিনি। ৬১ মিনিটের সময় ভ্যান ডি বিক ডি বক্সের ভিতরে লুইস দিয়াজকে ফাউল করে বসলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল, স্পট কিক থেকে একেবারে ঠান্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে দেন সালাহ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে এটি তাঁর পঞ্চাশতম গোল; একইসাথে চলতি মৌসুমে তিনি এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ষোলটা গোল করে ফেলেছেন। এছাড়া আছে বারোটা অ্যাসিস্ট। ইউরোপের টপ ফাইভ লিগে আর কোন খেলোয়াড়েরই এতগুলো গোলে অবদান নেই।
জিরোনার বিপক্ষে শেষপর্যন্ত এই তারকার গোলটাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল। তাঁর একমাত্র গোলে পারফেকশন ধরে রাখতে সক্ষম হয় অলরেডরা, চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ছয় ম্যাচের প্রতিটাতেই জিতেছে দলটি। এর ফলে রাউন্ড অব সিক্সটিন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলো তাঁদের।