স্যান সিরো-তে আগমন লিভারপুলের। ঘরের মাঠে এসি মিলান চেয়েছিল পূর্ণ তিনটি পয়েন্ট। কিন্তু উলটো তাদেরকেই হজম করতে হয়েছে তিনটি গোল। অলরেড ডিফেন্ডারদের গোলের ক্ষুধা পুড়িয়েছে মিলানের দূর্গ। তাতে করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম রাতটা মিলানের জন্যে বিষন্নতার।
অবশ্য ম্যাচের একেবারে প্রথম দিকেই এগিয়ে গিয়েছিল এসি মিলান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দুই ক্লাবের লড়াইয়ে, উত্তেজনার পারদ আকাশসম হওয়ার কথা। ইতালিতে তেমনই ছিল স্টেডিয়ামের আবহাওয়া। উন্মাদনার হাওয়া আরও খানিকটা ঘনিভূত করেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ।
ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় এসি মিলানকে এগিয়ে দেন আমেরিকান ফরোয়ার্ড। ডি-বক্সের ডান পাশ থেকে শট চালান তিনি। লিভারপুল গোলরক্ষক এলিসন সম্ভবত ক্রসের অপেক্ষায় ছিলেন। তাকে চমকে দিয়ে বল জালে জড়ান পুলিসিচ। পুরো স্যান সিরোতে উন্মাদনা আসমান ছাড়িয়েছে।
লিভারপুল এরপর নিজেদের গুছিয়ে নেয়। আক্রমণ সাজাতে শুরু করে দেখেশুনে। মোহাম্মদ সালাহ বুড়িয়ে গেছেন বটে। তবে এখনও সমান কার্যকর তিনি। বারংবার রাইট উইং দিয়ে আক্রমণ আছড়ে পড়েছে মিলানের রক্ষণে। সালাহকে বেশ দুর্ভাগাও বলা চলে। দুই দুইবার তার নেওয়া শট প্রতিহত হয় গোলবারে লেগে। নতুবা লিভারপুল সমতায় বেশ আগেভাগেই ফিরতে পারত।
যদিও অলরেড ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করাননি দলকে। ২৩ মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিক থেকে বল আছড়ে পড়ে সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ভেতর। দীর্ঘকায় কোনাতে এক লাফে ছাড়িয়ে যান সবাইকে। এরপর বল জড়ান জালে। ১-১ গোলের সমতায় ফেরে ম্যাচ।
প্রথমার্ধেই লিড নিয়ে নেয় লিভারপুল। কর্ণার থেকে এবারে হেডে গোল করেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্নে স্লটের শীষ্যরা। এবার এসি মিলানও খানিক রয়ে সয়ে, নিজেদের আক্রমণের ধার বাড়ায়। বিশেষ করে পর্তুগীজ তারকা রাফায়েল লিয়াও লিভারপুলের জন্যে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে কাজের কাজটি করতে পারেননি।
বরং ম্যাচের ৬৭ মিনিটের মাথায় হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার ডমিনিক সোবোসজলাই গোল করে বসেন। কোডি গ্যাকপোর বাড়িয়ে দেওয়া বলে পা ছোঁয়াতে ভুল করেননি সোবোসজলাই। সেখানেই মূলত মিলানের সকল আশার সমাধি ঘটে। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে আর্নে স্লটের দল। আত্মবিশ্বাসের সাথে এবার তবে লিভারপুল লড়াই চালাবে শিরোপার।