‘খাওয়ার জন্যই তো খেলি’

নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার লকি ফার্গুসন পেসার হিসেবে যেমন, তেমনি খাদ্যরসিক হিসেবেও সতীর্থদের কাছে সমান পরিচিত। তাও খাবার রুচিও অত্যন্ত বৈচিত্রময়। নিজের খাওয়া-দাওয়া এবং বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সাথে।

মজার এই সাক্ষাৎকার রইলো সকলের জন্য।

আপনার প্রিয় খাবার কী?

আমি জাপানিজ পছন্দ করি। শুশি বিশেষ করে পছন্দ করি।

বেশিরভাগ সময় কী খান?

সুশি (হাসি)।

কোন ক্রিকেট ভেন্যুর ক্যাটারিং সবচেয়ে ভালো?

অবশ্যই লর্ডস। এটা খুব মজার। শুরু, মূল কোর্স, ডেজার্ট; সব ভালো। ওদের খাবার দেখলে পেশাদার ক্রীড়াবিদরাও লোভে পড়ে যায়। আর রোমে যখন যাবেন, রোমানদের মতোই তো খেতে হবে!

খাওয়ার জন্য কোন শহরটা সবচেয়ে ভালো?

নিউ ইয়র্ক।

আপনার টিমমেটদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো রান্না করে কে?

ক্রিকেটাররা বেশিরভাগ খুব বিভৎস রাধুনি হয়। কারণ, আমরা বেশিরভাগ সময় তো হোটেলেই থাকি। ওকে, আমি এটা বলি যে আমাদের নিউজিল্যান্ডে সবচেয়ে ভালো খাবার কে দিতে পারে। সাধারণত কিউইরা বারবিকিউতে খুব ভালো। আমার ফ্লাটমেট বেন হর্ন আছে, ও অকল্যান্ডের হয়ে খেলে। ও পুরো শীত জুড়ে আমাদের জন্য নানারকম রান্না করে। হ্যা, ওর রান্না ভালো। লক ডাউনের সময় ও প্যানকেক বানাতো। আমি বেক করতাম। আর কুপস (হেনরি কুপার) ভালো কফি বানাতে পারে। ফলে এটাকে আপনি টিম এফোর্ট বলতে পারেন।

একজন পেশাদার ক্রিকেটার কী ধরণের ফাস্ট ফুড খেতে পারেন?

সব; সব ফাস্টফুড। কারণ, আমরা খেলি তো ক্যালরি পোড়ানোর জন্য। যাবে আরেকটু বেশী ফাস্ট ফুড খেতে পারি (হাসি)।

ওকে, মজা করছিলাম। সবকিছু সীমিত খাওয়া ভালো। আপনি ম্যাকডোনাল্ডস বা নিউইয়র্ক পিজ্জা খেতে পারেন। তবে সীমিত পরিমানে। আপনি প্রতিদিন এসব খেলে আপনার কোমরের মাপের জন্য ব্যাপারটা খুব ভালো হবে না। তবে কী জানেন, মাঝে মাঝে নিজেকে একটু ট্রিট তো দেওয়া উচিত।

নিউজিল্যান্ডে টেস্ট বা ওয়ানডে চলা অবস্থায় দুপুরে কী খেতে পছন্দ করেন?

আমি তো টেস্টে জীবনে একটা দিনই টিকতে পেরেছি (একটাই টেস্ট খেলেছেন)। ফলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের কথা বলতে পারি। আমি ব্রেকফাস্ট খুব পছন্দ করি। সাধারণ টোস্টে অ্যাভোক্যাডো এবং স্ক্রাম্বলড এগ পছন্দ করি। আর নিউজিল্যান্ডের কফি তো দারুন কড়া। আমি এ জন্য দেশে খেলাটা খুব পছন্দ করি। আর দুপুরের খাবার তো মাঠে দেওয়া হয়। ফলে ওই দিন যা দেয়। এটা আমার স্বীকার করতে হবে যে, তরকারীর ক্ষেত্রে আমি অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। কখনো খুব ভালো পেয়ে যাই, কখনো তেমন ভালো হয় না। তবে হ্যা, ভারতে আসাটা এই একটা কারণে আমার খুব পছন্দ। এখানকার তরকারী ব্যাপারটা ফেনোমেনাল। তবে একটু সীমিত আকারের খাওয়াই মনে হয় ভালো।

ওয়ার্কআউটের পর কী খান?

আমি আসলে ওয়ার্ক আউট করার পর খেতে পারি না। আগে কিছু খাই। একবার ওয়ার্ক আউট শেষ করার পর শুধু কফিই নিই।

তাহলে ওয়ার্ক আউটের আগে কী কী খান?

বেরি; অনেক ধরণের। বিশেষ করে রাসবেরি। এ ছাড়া কলা, চকোলেট প্রোটিন, ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক।

এমন কোনো খাবার আছে যেটা আপনি খেতে খুব পছন্দ করেন, কিন্তু এই ফিটনেস যুগে এসে ডায়েট পরিকল্পনায় রাখতে পারেন না সেই খাবারটা?

না। আসলে সেরকম কিছু নেই। আমি এখন সবকিছুই সীমিত আকারে খাই। আমি আমার ক্যারিয়ার শুরু করার সময় ভাবতাম, আমি এখন থেকে একটা বড় চকলেট একা খেতে পারবো। বা একটা পুরো পিজা খেয়ে ফেলতো পারবো। কেউ আটকাবে না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাকে পুরোটা খাওয়া কমাতে হয়েছে। কিন্তু খাই সব।

আপনার কিট ব্যাগে সবসময় কী কোনো স্ন্যাক্স থাকে?

না। আমাদের তো হোটেলে খুব যত্ন নেওয়া হয়। আমার মনে হয় নিউজিল্যান্ডের ‘কিউই উইট্যাকার’-এর চকলেটটাই একমাত্র জিনিস, যেটা আমি সাথে রাখতে চাই বা আমাকে পাঠানো হয়। এতে আমার বাসার কথা মনে পড়ে।

আপনি বাকি জীবন যদি আর একটাই খাবার খাওয়ার অনুমতি পান, তাহলে সেটা কী হবে?

সুশি।

নিজেকে একটা চিট মিল দিতে হলে কী বেছে নেবেন?

পেপারনি পিজা; নিউ ইয়র্ক স্টাইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link