১২ বছর পর নিলামে ফেরার দিনটা খুব একটা সুখকর হল না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। হযবরল নিলামে স্থানীয়দের পেছনে সাড়ে কোটি টাকা ব্যয় করার সীমানা বেঁধে দিয়েছিল বিসিবি। যদিও, কোনো দলই সেই সীমানা ছুঁতে পারেননি।
স্বাভাবিক ভাবেই সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে রংপুর রাইডার্স। ১২ জন স্থানীয় ক্রিকেটার নিতে তাদের খরচ হয়েছে ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা—সবার ওপরে থাকলেও নির্ধারিত বরাদ্দ থেকে অনেকটাই নিচে। রংপুরের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালস। তারা খরচ করেছে ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এর বড় অংশটাই গিয়েছে এক নামেই—মোহাম্মদ নাইম শেখ। প্রথম ডাকেই তাকে নিতে চট্টগ্রামের খরচ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স নিয়েছে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড়—১৩ জন। কিন্তু সংখ্যার সঙ্গে খরচ বাড়েনি ততটা; সব মিলিয়ে তাদের ব্যয় ৩ কোটি ৮১ লাখ।

অদ্ভুত উপায়ে দল করেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। তাঁরা অতি-সাশ্রয়ী একটা দল করেছে। বাকিদের চেয়ে সবচেয়ে কম ব্যয় করেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। ১২ জন স্থানীয় ক্রিকেটারের জন্য তাদের খরচ মাত্র ২ কোটি ৬৩ লাখ। সিলেট টাইটানস এসেছে তার পরেই—২ কোটি ৭৪ লাখ। আর ঢাকা ক্যাপিটালস মাঝামাঝি অবস্থানে, খরচ ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
কিন্তু পুরো লড়াইটাই বদলে যায় বিদেশি ক্রিকেটারদের বাজারে। এখানে দলগুলো খরচ করতে পারত সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। তবুও তিনটি দল—নোয়াখালী এক্সপ্রেস, রংপুর রাইডার্স এবং রাজশাহী ওয়ারিয়র্স—এখানে যেন হাতই তুলল না। ৫০ হাজার ডলারও খরচ করেনি তারা। যেন বিদেশি দৌড়ে নামটাই লেখেনি। অপরদিকে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম—ঢাকা ক্যাপিটালস। নিলাম থেকে দুই বিদেশি নিয়ে তারা খরচ করেছে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার ডলার।
সবাই যেন খরচ না করতে পারলেই বাঁচি এই মানসিকতা থেকে এসেছে বিপিএলের, তাই দাসুন শানাকা ছাড়া তেমন কোনো বড় মানের টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় নিলাম থেকে দলে টানতে পারেনি কেউ।











