প্রায় প্রতি ম্যাচেই রান বন্যা হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। শিরোনামে জায়গা পায় মারকুটে ব্যাটারদের সকল ফিরিস্তি। তবে লো স্কোরিং ম্যাচের রোমাঞ্চও আইপিএল কম ছড়ায়নি। এইতো সেদিন পাঞ্জাব কিংস রেকর্ড গড়ে ফেলল। আইপিএল ইতিহাসে সর্বনিম্ন লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েও জয় তুলে নিয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল।
চার-ছক্কার জমকালো দুনিয়াতে, বোলারদের কৃতীত্বের সব রেকর্ডও নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করে। আজ থাকছে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করার ফিরিস্তি। চলুন তবে শুরু করা যাক।
- সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ১১৯ (২০১৩)
২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়ার্স ইন্ডিয়াকে মাত্র ১২০ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। প্রথম চার ওভারে বিনা উইকেটে ৩৮ রান করে ফেলা পুনে সেই ম্যাচ হেরেছিল ১১ রানের ব্যবধানে। অমিত মিশ্রের স্পিন ঘূর্ণিতে ঘুরপাক খেয়েছিল পুনের ব্যাটাররা। মাত্র ১৯ রান খরচায় চার উইকেট বাগিয়েছিলেন অমিত মিশ্র।
- কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ১১৯ (২০০৯)
স্বল্প রানের পুঁজি রক্ষার কাজটা বহু আগে থেকেই করে আসছে পাঞ্জাব ফ্রাঞ্চাইজি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২০০৯ সালে ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েও জয় পেয়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। সেই ম্যাচটিতে মুম্বাই হেরেছিল স্রেফ তিন রানের ব্যবধানে। পাঞ্জাবের গোটা বোলিং ইউনিট একত্রিত হয়ে দূর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দিয়েছিল মুম্বাইকে।
- সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ১১৮ (২০১৮)
স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েও সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ার রেকর্ডটি রয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের দখলে। ২০১৮ সালে তারা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ছুড়ে দিয়েছিল মাত্র ১১৯ রানের টার্গেট। ওয়াংখেড়েতে সেদিন রশিদ খানের স্পিন জাদুতে কাবু হয়েছিল মুম্বাই। ৩১ রানের ব্যবধানে হেরেছিল তারা। রশিদ খান স্রেফ ১১ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট তুলে নেন, একটি ওভার মেইডেনও করেছিলেন তিনি।
- চেন্নাই সুপার কিংসের ১১৬ (২০০৯)
পাঞ্জাব কিংস নতুন রেকর্ড গড়ার আগে চেন্নাই সুপার কিংসের দখলে ছল সর্বনিম্ন রান ডিফেন্ড করার রেকর্ড। ২০০৯ সালে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে চেন্নাই সুপার কিংস ১১৬ রান তুলতে সক্ষম হয়। তবুও তারা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে আট রানের ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয়। শ্রীলঙ্কান পেসার মুত্তিয়া মুরালিধরন চার ওভারে আট রান দিয়ে দুই উইকেট বাগিয়েছিলেন।
- পাঞ্জাব কিংসের ১১১ (২০২৫)
বর্তমান সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১১২ রান নেয়াহেত মামুলি টার্গেট। হেসেখেলে যে কোন দল টপকে যাবে স্বল্প রানের এই বাঁধা। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বাঁধা টপকানোর সুযোগই দেয়নি পাঞ্জাব কিংস। যুজবেন্দ্র চাহাল ও মার্কো ইয়ানসেন- এই দুইজনে মিলে শিকার করে সাতটি উইকেট। তাতে করে ১৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রেয়াস আইয়ার ও তার দল।