ক্রিকেট অরণ্যে মেহেদি এক চৌকস শিকারি

বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিচ্ছেন তিনি ক্রিকেটের বিস্তৃর্ণ অরণ্যে। এই ধারা চলুক অরণ্যের বাঁকে চলা ঝর্ণা হয়ে। 

ক্লিন বোল্ড! শেখ মেহেদীর নামের পাশে যুক্ত হয়ে গেল চার উইকেট। নিজের দারুণ ফর্ম অব্যাহত রাখলেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। বল হাতে তিনি যে ‘পারফেক্ট টি-টোয়েন্টি ম্যাটেরিয়াল’- সেটাই যেন বোঝালেন আরও একটিবার।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন অফ স্পিনার মেহেদি। আঙুলের কারুকাজে ঘূর্ণির জাদু দেখিয়েছেন তিনি। ঢাকা ক্যাপিটালসের জয়ের সমস্ত দুয়ারকে রীতিমত একাই রুদ্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

এই তো সেদিন রংপুর রাইডার্সের হয়ে জিতে এলেন গ্লোবাল সুপার লিগ। সেখানে আট উইকেট নিয়ে দলের শিরোপা জয়ের পথ সহজ করেছেন তিনি। এরপর জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজেও করেছেন বাজিমাত। তিন ম্যাচে আট উইকেট। উইকেট শিকারের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছন তিনি বিপিএলেও।

প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই তুলে নিয়েছেন চারখানা উইকেট। ঢাকার টপ অর্ডার পুরোটাই গিয়েছে তার পকেটে। প্রথম আগ্রাসি ভঙ্গিমায় ব্যাট করতে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট তুলে নেন। এরপর হাবিবুর রহমান সোহান উইকেটে এসেই ছক্কা হাঁকান মেহেদির বলে। কিন্তু ঠিক তার পরের বলেই কুপোকাত সোহান।

মেহেদির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ডানহাতি এই ব্যাটার। রংপুরের প্রথম জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছিলেন লিটন কুমার দাস। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই সেনানীকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মেহেদি। লিটন দাসের পুরো শরীর জানান দিয়েছে হতাশা। শট খেলেই ব্যাট হাত থেকে ফেলে দেন লিটন।

ওই ওভারেই দূর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আরও একটি উইকেট হয়ে যায় মেহেদির। পিওর এক অফ স্পিন বোলিংয়ে ছত্রখান হয়ে যায় ফারমানুল্লাহ সাফির উইকেট। উচ্ছ্বাসে হাওয়ায় ভেসে ওঠেন মেহেদী। উচ্ছ্বাস যে তারই মানায়। ধারাবাহিকভাবে পারফরম করে যাচ্ছেন তিনি। বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিচ্ছেন তিনি ক্রিকেটের বিস্তৃর্ণ অরণ্যে। এই ধারা চলুক অরণ্যের বাঁকে চলা ঝর্ণা হয়ে।

Share via
Copy link