ফাইফার নিয়েই আগমনী বার্তা দিলেন আগামীর সাকিব!

প্রখর রোদে জ্বলজ্বল করে উঠছে রাব্বির নামের পাশে লেখা সাত ওভার চার বল আট রান, পাঁচ উইকেটের পরিসংখ্যানটা। নিজের লিস্ট এ ক্যারিয়ারের এটিই তার প্রথম ফাইফার।

হাঁটু গেড়ে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাটিতে মাথা ঠেকালেন এক তরুণ। নামটা, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, বয়স মোটে ১৯। স্রস্টার প্রতি কৃতজ্ঞতায় সিজদাহে লুটিয়ে পড়ার কারনটা স্কোরবোর্ডে তাকালেই পরিস্কার হয়ে যায়।

প্রখর রোদে জ্বলজ্বল করে উঠছে রাব্বির নামের পাশে লেখা সাত ওভার চার বল আট রান, পাঁচ উইকেটের পরিসংখ্যানটা। নিজের লিস্ট এ ক্যারিয়ারের এটিই তার প্রথম ফাইফার।

যারা ঘরোয়া ক্রিকেট আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খোঁজখবর রাখেন তারা নিশ্চয়ই জানেন তার নাম। দারুণ প্রতিভাবান বা-হাঁতি স্পিন অলরাউন্ডার তিনি। ক্রিকেট অনুরাগীদের অনেকেই তার মধ্যে সাকিব আল হাসানেরও ছাপ দেখতে পান।

দারুন পাওয়ার হিটিংয়ের সাথে প্রপার ঘূর্ণি জাদু এই অল্প বয়সে সবই যেন আয়ত্ত করে ফেলছেন তিনি। সবশেষে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও খেলেছিলেন ৩৯ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। তবে বল হাতে নিজের সার্মথ্যর প্রমান দেওয়া যেন বাকি ছিল। এদিন সেই আক্ষেপটাই যেন দূর করলেন তিনি।

ডিপিএলে পার্টেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে যেন একাই গুটিয়ে দিলেন তিনি। ৬৫ রানে এক উইকেট থেকে ১০০ রানে অলআউট সাব্বির রহমানের দল। মাহফুজুরের স্পিন ঘূর্ণি বুঝতেই পারেনি পার্টেক্সের কোন ব্যাটার। দুইজন হয়েছেন বোল্ড, দুইজন বলের লাইন না বুঝে খোঁচা দিয়ে কাটা পড়েছেন উইকেট রক্ষকের দস্তানায়। বাকি একজনও কোন রকম ডিফেন্ড করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন ত্রিশ গজের ভিতরে।

ক্রিজে থিতু হওয়া জয়রাজ শেখকে আউট করে ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দিয়ে শুরু, শেষটাও তার হাতেই। আলাউদ্দিন বাবু, মোহর শেখ, তানভীর হোসেনরা সামান্য প্রতিরোধও গড়তে পারেনি তার বিরুদ্ধে।

মাহফুজুর রাব্বির তারুণ্যর ভরেই তো এগিয়ে যেতে চায় দেশের ক্রিকেট। এমন অর্জন আরও যুক্ত হক তার নামের পাশে সেটিই নিশ্চয়ই প্রত্যাশা এখন সবার। একজন প্রপার অলরাউন্ডার যে এখনো বড্ড পরম আরাধ্য এ দেশের ক্রিকেটে।

Share via
Copy link