বাংলাদেশি এক ব্যাটার ছক্কার আতশবাজি ফুটিয়েছেন বাইশ গজে। চোখজোড়া যেন জুড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম। মাত্র ১৮ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মাঠের চারিপাশে বল উড়িয়ে ফেলেছেন বাউন্ডারির ওপারে। পাওয়ার হিটিংয়ের যথাযথ প্রদর্শনই করলেন তিনি।
সদ্য শেষ হওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। প্রত্যাশার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেননি তিনি। ছয় ম্যাচে মোট ৯০টি রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তিনি। স্বদেশী বোলারদের বিপক্ষে ভীষণ ছন্নছাড়া লেগেছিল তাকে।
সবাই হয়ত ধারণা করেছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও মাহিদুল অঙ্কন করবেন ধূসর কোন এক চিত্র। কিন্তু না প্রথম ম্যাচেই সবাইকে চমকে দিলেন। আগ্রাসী তুলির আচড়ে হোম অব ক্রিকেটের ক্যানভাসে তিনি এঁকে দিলেন বর্ণিল এক চিত্রকর্ম। ফিফটি ছাড়ানো ইনিংসটিতে তিনি ছক্কা মেরেছেন ছয় ছয়টি।
২২ বলের এই ইনিংসটিতে একটি চার মেরেছেন তিনি। মারকাটারি এই ইনিংসে মাত্র চারটি বল ডট দিয়েছেন। প্রায় ২৫৭ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন। এমন আগ্রাসন যেন অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা অজি ব্যাটার উপভোগ করে গেলেন। বাংলাদেশের ব্যাটাররাও যে টি-টোয়েন্টির মেজাজ বুঝে ব্যাটিং করতে জানেন, সেটাই প্রমাণ করলেন অঙ্কন।
নিজের সামর্থ্য প্রমাণের এই যাত্রায় একাদশ বিপিএলের দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরিও করে ফেলেছেন তরুণ এই ব্যাটার। এমনকি বিপিএল ইতিহাসে দেশীয় খেলোয়াড়দের মধ্যেও দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির মালিক এখন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। মাত্র ২২ বলে ৫৯ রান নিয়ে অপরাজিত থেকেছেন তিনি।
এছাড়াও ১৫ তম ওভারে ক্রিজে এসেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন অঙ্কন। আর তাতেই দুইশো রানের গণ্ডি পেরিয়েছে খুলনা টাইগার্স। দেশীয় ব্যাটারদের অবদানই কেবল ফেরাতে পারে বিপিএলের পূর্ণ আনন্দ, সেটা নিশ্চয়ই আর বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।