ম্যানচেস্টার সিটির ওপর ফুটবল বিধাতা যতটা রুষ্ট, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রুষ্ট বোধহয় আর্লিং হাল্যান্ডের ওপর। একটা সময় গোল করা যার কাছে ছিল হাতের মোয়া, তিনি এখন গোল করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আত্মবিশ্বাস এখন এতটাই তলানিতে পৌঁছেছে যে স্পট কিক থেকেও জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি। আর সেটার সুবাদে আরো একবার পয়েন্ট খুইয়ে মাঠ ছেড়েছে তাঁর দল।
এভারটনের বিপক্ষে ম্যানসিটির পুরনো রেকর্ড স্বাভাবিকভাবেই ভাল, ২০২০ সালের পর থেকে মাত্র একবার ড্র করেছে তাঁরা। তাই তো জয়ের পথে ফেরার জন্য এ ম্যাচটাকে লক্ষ্য বানিয়েছিল দলটা, শুরুটাও হয়েছিল একেবারে প্রত্যাশামাফিক।
লেফট উইংয়ে জেরেমি ডকুর ঝড়ে গোলের সুযোগ পেয়ে যান বার্নান্দো সিলভা, একেবারে ঠান্ডা মাথায় সেই সুযোগ কাজে লাগান তিনি। সিটিজেনরা এগিয়ে যায় সেই যাত্রায়। ব্যবধান বাড়তে পারতো খানিকক্ষণ পরেই।
কিন্তু উল্টো স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সমর্থকদের চোখে বিস্ময় এঁকে দেন ইলিম্যান দিআই। ট্রিভিয়া স্টাইলে তিনি শট নেন ম্যানসিটির গোলপোস্টে – ঠেকাবে সাধ্য কার। সমতায় থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে দু’দল।
এরপরই সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন হাল্যান্ড। কিন্তু স্রেফ বারোগজ দূর থেকে নেয়া তাঁর শট পরাস্ত করতে পারেনি জর্ডান পিকফোর্ডকে। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ গোলশূন্য আছেন এই স্ট্রাইকার। আর লিগের সবশেষ তেরো ম্যাচে তাঁর গোল মাত্র তিনটা! নরওয়ের তারকার নামের পাশে এমন বিবর্ন পরিসংখ্যান বড্ড চোখে লাগছে।
সত্যি বলতে, সাম্প্রতিক সময়ে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের যে দুরাবস্থা সেটার দায়ভার তাঁকে নিতেই হবে। পুরো দল গোলের জন্য যেখানে তাঁর দিকে চেয়ে থাকে সেখানে তিনি প্রতিনিয়ত গোল মিস করে মুখ লুকোতে ব্যস্ত।
জুলিয়ান আলভারেজও নেই দলে, গার্দিওলার হাতে তাই প্ল্যান বি নামক কোন বস্তু নেই। ম্যানচেস্টার সিটি তবে কি পুরনো ছন্দে ফিরতে পারবে না? যদি পারে তাহলে ঠিক কখন, কবে – উত্তরের অপেক্ষায় পুরো ফুটবলবিশ্ব।