ম্যানচেস্টার ইজ রেড!

ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে লিসান্দ্রো মার্টিনেজ সিটিজেনদের রক্ষণ ভাগকে একেবারে চুরমার করে দেন!

নাটকের চেয়ে বেশি নাটকীয় যদি কিছু থাকে সেটা তবে ফুটবল – কথাটা আরো একবার প্রমাণিত হলো ম্যানচেস্টার ডার্বিতে। দূরতম কল্পনাকে হার মানিয়ে দিয়েছে শেষ মিনিটের চিত্রনাট্য, যা কেউ ভাবতে পারেনি সেটাই ঘটেছে চোখের সামনে। সব হিসেব নিকেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২০ সালের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারালো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

ম্যাচের ৮৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়েই ছিল ম্যানচেস্টার সিটি, কিন্তু তালগোল পাকিয়ে ফেলেন ম্যাথিউস নুনেজ। এডারসনকে ব্যাকপাস দিতে গিয়ে তিনি বল তুলে দেন আমাদ দিয়ালোর পায়ে, একেবারে নিশ্চিত গোল থেকে রক্ষা পেতে তাই দিয়ালো ট্যাকেল করতেই হতো তাঁকে।

ফলাফল, পেনাল্টি! ইউনাইটেড অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ অবশ্য চাপের মধ্যেও ছিলেন নির্ভার। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষককে ভুল দিকে পাঠিয়ে তিনি দলকে সমতায় ফেরান। তবে গল্পের তখনো অনেকটা বাকি!

ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে লিসান্দ্রো মার্টিনেজ সিটিজেনদের রক্ষণ ভাগকে একেবারে চুরমার করে দেন! তাঁর একটা লফটেড পাসেই ফাঁকায় বল পেয়ে যান দিয়ালো। খানিকক্ষণ আগে পেনাল্টি জেতা এই তরুণ এবারও ভুলচুক করেননি; একেবারে ঠান্ডা মাথায় চিপের সাহায্যে এডারসনকে ফাঁকি দেন তিনি, অতঃপর ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলে দিয়ে খুলে দেন ইতিহাসের দ্বার!

সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা করলে অবশ্য ডার্বিতে একক ফেভারিট হিসেবে নামতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। বহুদিন পর এমন কিছু দেখেছে ফুটবল বিশ্ব, তবু ইউনাইটেড তাঁদের হারিয়ে দিবে এই স্বপ্ন খুব কম মানুষই দেখেছে। স্বপ্নবাজ সমর্থকের সংখ্যা আরো কমে যায় গাভার্দিওলের হেডারের পর। কর্নার থেকে জটলায় বল পেয়েই বল জালে জড়ান তিনি।

তবে শেষপর্যন্ত ইতিহাদে নিজেদের দর্শকের সামনেই পরাজয়ের স্বাদ পেলো কেভিন ডি ব্রুইনার দল। বহুদিন পর নীল নয় বরং লাল রংয়ে সাজলো পুরো ম্যানচেস্টার। এর ফলে পয়েন্ট টেবিলের সেরা চারের নিচে নেমে গেলো পেপ গার্দিওলা, সেই সাথে শিরোপা ধরে রাখার আশাও এখন অনেকটা ম্লান হয়ে গিয়েছে। স্প্যানিশ হেডমাস্টার বোধহয় ক্যারিয়ারে এমন সময় আগে কখনো দেখেননি।

Share via
Copy link