অবশেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দাপট দেখলো প্রিমিয়ার লিগ; বড় জয়ের স্বাদ কেমন হয় সেটাই ভুলতে বসেছিল তাঁরা। তবে রুবেন আমরিমের অধীনে ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পাচ্ছে দলটি, প্রথম ম্যাচে ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছিল ইউনাইটেড। কিন্তু এভারটনকে কোন ছাড় দেয়নি তাঁরা৷
নিজেকে হারিয়েই ফেলেছিলেন মার্কাস রাশফোর্ড, লিগ ম্যাচে সবশেষ গোল পেয়েছিলেন সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর থেকেই গোল খরায় ভুগছিলেন তিনি, কিন্তু আমরিম কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেলো তাঁর।
নতুন কোচের অভিষেক ম্যাচেই ইপ্সউইচের বিপক্ষে জালের দেখা পেয়েছিলেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। তবে দলকে জেতাতে পারেননি সেদিন, সেই ক্ষোভ মিটিয়েছেন এভারটনের বিপক্ষে – করেছেন জোড়া গোল! কর্নার থেকে প্রথম গোল করেছিলেন তিনি, ব্রুনো ফার্নান্দেজের সেটপিস থেকে জাল খুঁজে নেন।
বিরতি থেকে ফিরে আরো একবার স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন এই তারকা; আমার দিয়ালোর পাস প্রায় ফাঁকা পোস্টে ঠেলে দিয়ে উদযাপনে মেতে উঠেন তিনি। বলতেই হয়, পর্তুগিজ গুরুর অধীনে নবজীবন পেয়েছেন রাশফোর্ড।
তাঁর মতই জোড়া গোল করেছেন আরেক স্ট্রাইকার জসুয়া জিরকজি; ম্যাচের আগেই কোচ জানিয়ে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছেন জিরকজি। মাঠেও ঘটেছে সেটা, দুর্দান্ত পজিশনিং সেন্স আর টাইমিংয়ের সুবাদে পর পর দুই গোল আদায় করে নিয়েছেন তিনি – মজার ব্যাপার, তাঁর দুই গোলের পিছনেই ছিল ডিফেন্স লাইনের শিশুতোষ ভুলের দায়।
রেড ডেভিলদের বড় জয় পাওয়ার দিনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ। প্রথম দুই গোলের ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন তিনি; আবার তরুণ দিয়ালো পরের দুই গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। সবমিলিয়ে জোড়া ব্যক্তির জোড়া গোল এবং জোড়া অ্যাসিস্ট – কাকতালীয় মিল বটে।
যে স্বপ্ন আর প্রত্যাশা নিয়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এসেছেন রুবেন আমরিম, এখন পর্যন্ত সেটা পূরণ করতে পেরেছেব তিনি। অন্তত দুইটা হোম ম্যাচে তাঁর শিষ্যদের পারফরম্যান্স আশা জোগাবে সমর্থকদের হৃদয়ে।