ডি ব্রুইনা না থাকলেই কেন কাবু হাল্যান্ড!

এই নিয়ে পরপর দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারানো পেপ গার্দিওলার দল। আর্সেনালের বিপক্ষে ড্রয়ের পর এবার নিউক্যাসলের সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলো, আপাতত পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানে থাকলেও অবস্থান অনেকটাই গড়বড়ে হয়ে গেল দলটির৷

ব্রুনো গুইমারেজের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে গিয়েছিলেন অ্যান্থনি গর্ডন, ম্যানুয়েল আকানজিকে ফাঁকি দিয়ে তিনি চলে আসেন এডারসনের সামনে। না, শট নেননি বরং দারুণ ক্ষিপ্রতায় তাঁর পাশ কেটে বেরিয়ে গিয়েছিলেন এই ইংলিশম্যান। বাধ্য হয়ে তাঁকে ফেলে দেন ম্যানসিটি গোলরক্ষক – ফলাফল পেনাল্টি।

বারো গজ দূর থেকে অবশ্য গোল করতে ভুল হয়নি গর্ডনের। এই গোলেই সমতায় ফেরে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড, শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় তাঁরা।

কেভিন ডি ব্রুইনা না থাকলে আর্লিং হাল্যান্ড আর কাঠের টুকরোর মাঝে কোন পার্থক্য নেই – ফুটবল অঙ্গনে কথাটা শোনা যায় নিচু কণ্ঠে। তবে নিউক্যাসেলের বিপক্ষে সেটাই সত্যি হয়েছে, ডি ব্রুইনার অনুপস্থিতিতে হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন হাল্যান্ড। গোলের দেখা পাওয়া তো দূরে থাক, সবমিলিয়ে গোলপোস্টে তিনি শট নিতে পেরেছেন মাত্র দুইটি!

নাম্বার নাইনের ম্লান পারফরম্যান্সের দিনে জোস্কে গার্দিওল নিজেই বনে গিয়েছেন নাম্বার নাইন। তাঁর গোল পর্দায় দেখলে সেই কথা বলতে অবশ্য বাধ্য হবেন যে কেউ। লেফট ফ্ল্যাঙ্ক ধরে ট্রিপিয়ারকে পরাস্ত করে ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি, তারপরই চোখের পলকে বার্ন আর তোনালিকে বোকা বানিয়ে ফার পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান!

সেই গোলের পর মনে হয়েছিল সেন্ট জেমস পার্কে বুঝি স্বাগতিকদের নাকানিচুবানি খাওয়াবে সিটিজেনরা। কিন্তু গোল হজমের পরই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তাঁরা – দুর্ভেদ্য এক রক্ষণ গড়ে তোলেন নিক পোপ আর তাঁর ডিফেন্ডাররা। যদিও জ্যাক গ্রিলিশ চেষ্টার কমতি রাখেননি, ৯৭ ভাগ পাসিং অ্যাকুরেসি নিয়ে চার চারটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি।

এই নিয়ে পরপর দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারানো পেপ গার্দিওলার দল। আর্সেনালের বিপক্ষে ড্রয়ের পর এবার নিউক্যাসলের সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলো, আপাতত পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানে থাকলেও অবস্থান অনেকটাই গড়বড়ে হয়ে গেল দলটির৷

Share via
Copy link