পিএসজির বিপক্ষে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও লজ্জাজনক হারের সাক্ষী হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এই একটা ম্যাচই চলতি মৌসুমে দলটার অবস্থা বুঝিয়ে দিয়েছে। ছন্নছাড়া রক্ষণ, বৈচিত্র্যহীন আক্রমণভাগ সবমিলিয়ে তাঁদের দিন কাটছে পাড়ার ক্লাবের মত। চেলসির বিপক্ষে একই দুঃস্বপ্ন তাড়া করেছিল তাঁদের, তবে শেষপর্যন্ত ঠিকই স্বরূপে ফিরেছে তাঁরা।
রদ্রির চোট, সেই সাথে দিয়াজ, স্টোনসদের চোট আর হাল্যান্ডের ব্যাকআপ না থাকা সিটিজেনদের ঠেলে দিয়েছে খাদের কিনারায়। ম্যাচের পর ম্যাচ বিধ্বস্ত হয়ে তবেই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে তাঁদের, তবে চেলসির বিপক্ষে আশার আলো দেখা দিলো বুঝি।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, কিন্তু দমে যায়নি। পরাজয়ের ক্লান্তি পাশে সরিয়ে রেখে তাঁরা লড়েছে নব উদ্যমে। ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা করেছিলেন জোস্কো গাভার্দিওল। তাঁর গোলের সুবাদে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
এরপর অবশ্য দেখা মিলেছে বিরল এক দৃশ্যের, অ্যাসিস্ট করে বসেছিলেন এডারসন। বিশাল এক শটে তিনি খুঁজে নেন হাল্যান্ডকে, দুর্দান্ত বুদ্ধিতে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার এরপর বোকা বানিয়েছেন চেলসি রক্ষণভাগকে। ম্যানসিটির হয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকার এটা পঞ্চম অ্যাসিস্ট, প্রিমিয়ার লিগে গোলরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ড এখন যৌথভাবে তাঁর দখলে।
প্রতিপক্ষের কফিনের শেষ পেরেক অবশ্য মেরেছেন ইনফর্ম ফিল ফোডেন। লিগে শেষ তিন ম্যাচে পাঁচ গোল করা এই ইংলিশম্যান হাল্যান্ডের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ার সৌজন্যে আদায় করে নিয়েছেন আরো একটা গোল।
এই জয়ে আবারো টপ ফোরে ফিরে আসলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা, ২৩ ম্যাচ শেষে পাঁচ নম্বরে থাকা নিউক্যাসেলের সমান ৪১ পয়েন্ট ফেলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে দলটা। শিরোপা জিততে না পারলেও অন্তত সেরা চারে থেকে লিগ শেষ করা উচিত তাঁদের – চেলসির বিপক্ষে জয় সেটারই অনুপ্রেরণা দিবে। সত্যি বলতে, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটার জন্য দিশা হয়ে এসেছে এ জয়।