ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরা কে? – এই প্রশ্নটা একটা কালজয়ী বিতর্ককে উস্কে দেয়। যার শুরু আছে, কিন্তু কোনো শেষ যেন নেই। এই নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। ব্রাজিলের পেলে ও আর্জেন্টিনার ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি বিতর্ক। সর্বকালের সেরা কে, সেই বির্তক এখনও চলমান। আর পৃথিবী যতদিন থাকবে – এই বিতর্কও ততদিন চলমান থাকবে।
এই বিষয়ে পেলে ও ম্যারাডোনাকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। ঐ প্রশ্নের উত্তর দিতে সময় ক্ষেপন করেননি ম্যারাডোনা। বিশ্ব ফুটবলের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করা পেলেই সর্বকালের সেরা-বলেছিলেন ম্যারাডোনা। পেলেকে ‘গোল্ডেন বয়’ নামে ডাকতেন ম্যারাডোনা।
কয়েক বছর আগে দেয়া এক টিভি সাক্ষাৎকারে পেলের সঙ্গে নিজের তুলনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘না, না, ম্যারাডোনা ম্যারাডোনাই। আর পেলে সেরাদের সেরা। আমি শুধুই একজন সাধারণ খেলোয়াড়। আমি পেলেকে ছাড়িয়ে যেতে চাই না, সবাই জানে তিনি (পেলে) সর্বকালের সেরা।’
পরিসখ্যান বলছে, ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পেলে। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপও জিতেছেন তিনি। দুর্দান্ত সব অর্জন পেলের ফুটবল ক্যারিয়ারকে উচ্চাতার শিখরে নিয়ে গেছে।
ব্রাজিলকে পেলে তিনটি বিশ্বকাপ এনে দিলেও আর্জেন্টিনাকে ম্যারাডোনা দিতে পারেন ১টি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেয় ম্যারাডোনা। ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে তুললেও জার্মানির কাছে হারতে হয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে।
জাতীয় দল এবং ক্লাবের জার্সিতে সমান ১৪টি করে শিরোপা জিতেছে পেলে ও ম্যারাডোনা। দেশের জার্সিতে গোলের দিক দিয়ে পেলের চেয়ে পিছিয়ে ম্যারাডোনা। ব্রাজিলের জার্সিতে ৯০ ম্যাচে ৭৭ গোল পেলের। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ম্যারাডোনা গোল ৯১ ম্যাচে ৩৪টি।
২০২০ সালে মারা যান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার কিংবদন্তির মৃত্যুর পর পেলে টুইটারে টুইট করে লিখেছিলেন, ‘আমরা স্বর্গে একদিন একসঙ্গে ফুটবল খেলবো।’ নতুন বছর শুরুর আগেই ব্রাজিলের সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে মৃত্যু হয় পেলের।