হার্দিক পান্ডিয়া, মোহাম্মদ নবি কিংবা সাকিব আল হাসান – ক্রিকেটের কুলীন অলরাউন্ডার প্রজাতির মধ্যে তাঁর নাম আসে খুবেই কম। অথচ, যখনই সুযোগ পান নিজের কাজটা করে যান অবিচল ভাবে।
ব্যাটে-বলে পুরোদস্তুর এক অলরাউন্ডার এই মার্কাস স্টোয়িনিস। ফ্রাঞ্চাইজি লিগে প্রায়ই দেখা যায় তাঁর অস্তিত্বের ছাপ। এবারের বিশ্বকাপেও দেশের হয়েও রাখলেন তার প্রমাণ।
অভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়ার সামনে ওমান যদিও ছিল খুবই নগন্য। তবে খেলাটা যেহেতু টি-টোয়েন্টি, তাই কোনো দলকেই খাটো করে দেখবার সুযোগ নেই। টি-টোয়েন্টি, পুরোটাই স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণে খেলা।
তাই এই ম্যাচেও অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোয়িনিস। পরপর উইকেট হারিয়ে দল যখন বেকায়দায় তখনই ত্রাতা হিসেবে আগমন স্টোয়িনিসের। ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে গড়েন ১০২ রানের জুটি।
আর তাতেই রানের ধারায় ফিরে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার কিছুটা ধীরে ব্যাটিং করলেও, ডান হাতি এই অলরাউন্ডারের ব্যাট চলেছে সাবলীল ভাবেই। বিশেষ করে তাঁর ইনিংসের শেষের দিকে। তিনি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ৬৭ রানের ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৩৬ বলে।
তাঁর সেই ইনিংসে ছিল ২ টি চার এবং ৬ টি ছক্কার মার। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৬ এর কোঠায়। স্টইনিস শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৬৫ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন।
আবার বোলিংয়ে এসেও স্টোয়িনিস দেখান তাঁর চমক। ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেন ১৯ রান। তবে সেই সাথে তুলে নেন ওমানের ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। যেখানে ছিল দলপতি আকিব ইলিয়াস, জিসান মাকসুদ আর মেহরান খানের উইকেট। আর তাঁর ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৬.৩৩।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য বোলাররাও ছিলেন বেশ সতেজ। তবে তাঁদের মধ্যে স্টইনিসের এই পারফর্ম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। আর তাতেই অস্ট্রেলিয়া পায় ৩৯ রানের এক বিশাল জয়। গ্রুপের হট ফেভারিটের তালিকায় আছে অস্ট্রেলিয়া।
তাই, ওমানের বিপক্ষে স্টোয়িনিসরা যেন নিজেদের পারফর্ম্যান্সকে আরো একবার ঝালাই করে নিলেন। স্টোয়িনিস নিজে তাঁর সক্ষমতার প্রমাণ রাখলেন আরেকবার। আলোচিত না হোক, সময়ের অন্যতম কার্যকর অলরাউন্ডার যে তিনি সেটা এখন আর বলে না দিলেও চলে।