অকল্যান্ডের রাত, বাতাসে টানটান উত্তেজনা না থাকলেও মার্ক চ্যাপম্য্যান নামলেনই দূর্বার এক ঝড়ের বার্তা হয়ে। ব্যাট হাতে আগুন ঝড়ালেন। প্রথম থেকেই আগ্রাসী, প্রথম বল থেকেই আক্রমণ! পাকিস্তানের পেস-স্পিন সব তছনছ করে দিলেন।
পাকিস্তানের বারংবার মিস ফিল্ডিংয়ের সুযোগ কাজে লাগালেন। চোখের পলকেই বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি! ১১ টি চার, চারটি বিশাল ছক্কা! কখনও কাভারের ওপর দিয়ে, কখনও মিড-উইকেটের গ্যালারিতে, কখনও স্ট্রেট ড্রাইভ হয়ে সীমানার বাইরে! আবরার আহমেদ, শাদাব খান, আব্বাস আফ্রিদি কাউকে ছাড়লেন না।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির একদম দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। মাত্র ৬ রানের দূরত্ব! কিন্তু ক্রিকেট দেবতা আজ নির্মম! আর একটুর জন্য হলো না, হলো না সেই কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার! শাহীন আফ্রিদি তাঁকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হলেন।
নিউজিল্যান্ডের রান তখন উড়ছে, ২৪০-২৫০ অনায়াসে হতো! কিন্তু একের পর এক উইকেটের ধস নেমে গেল, চ্যাপম্যান ফিরে যাওয়ার পরই নিউজিল্যান্ডের পতন শুরু হল। তাই শেষটা আর রূপকথার মত হল না। তারপরও অবশ্য লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। অলআউট হওয়ার আগে করেছে ২০৪ রান। আর এর জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য মার্ক চ্যাপম্যানের।











