অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরি, এক অসম্ভবের মধ্যে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন বুনলেন এইডেন মার্করাম। ব্যাট হাতে বোধহয় খেলে ফেললেন জীবনের সেরা ইনিংসগুলোর একটি। অজিদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে লর্ডসে লিখলেন মহাকাব্য।
ফাইনালে ২৮২ রানের টার্গেট আফ্রিকার জন্য। লর্ডসের মাঠে এটা যেন একপ্রকার অসাধ্য সাধনের চেষ্টা আফ্রিকার জন্য। আর দলীয় নয় রানের মাথায় যখন স্টার্কের শিকার হয়ে রিকেলটন ফিরে গেলেন, তখন তো আফ্রিকার সম্ভাবনার আগুন নিভে গেছে প্রায়।
তবে এইডেন মার্করাম সেই ছাইচাপা আগুনকে যেন অটল বিশ্বাসে ছড়িয়ে দিলেন। প্রথম ম্যাচে শূন্যতেই ফিরেছেন। তবে টেস্ট যেমন দ্বিতীয় সুযোগটা দেয়, বুদ্ধিমানরা সেটা কাজেও লাগায়। মার্করাম সেই কাজটায় করলেন।
ধৈর্য আর বিশ্বাস নিয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেন বাইশ গজে। স্টার্ক-কামিন্সদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। একেকটা শট লর্ডসের ঘাসে যেন লিখে দিচ্ছিল ‘মার্করাম মাস্টারক্লাস’।
মুলডারকে সঙ্গে নিয়ে করেন ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ২৭ রানের মাথায় মুলডার ফিরে গেলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল প্রোটিয়া ডেরায়। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে এক প্রান্ত আগলে রাখেন মার্করাম। টেম্বা বাভুমাকে সঙ্গে নিয়ে ইতিহাস রচনার গল্প লিখতে শুরু করেন।
দিনশেষে মার্করাম অপরাজিত থাকলেন ১০২ রানে। তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের থেকে মাত্র ৬৯ রান পিছিয়ে, এখনও হাতে রয়েছে আট উইকেট। প্রোটিয়াদের অজি-বধ যে এখন সময়ের অপেক্ষা শুধু। আর এর কারিগর তো ওই এইডেন মার্করাম।