বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট হলো কোপা আমেরিকা ফুটবল টুর্নামেন্ট। যদিও ১৯৭৫ এর আগে এটি অন্য নামে পরিচিত ছিল। ল্যাটিন আমেরিকান ফুটবল সংস্থা কোনমেবল এর সদস্যভুক্ত দশটি দেশই মূলত খেলে এই টুর্নামেন্ট, তবে মাঝে মাঝেই কিছু আমন্ত্রিত প্রতিযোগী দেশও অংশ নেই এই ঐতিহ্যমন্ডিত টুর্নামেন্টে। পেলে, ম্যারাডোনা, রোমারিও, রোনালদোর মতো অধিকাংশ ল্যাটিন আমেরিকান কিংবদন্তিরা প্রথম বহির্বিশ্বের নজর কেড়েছেন এই কোপা আমেরিকার মাধ্যমেই।
সেই অর্থে কোপাই অসংখ্য ল্যাটিন ফুটবলারকে তারকা , মহা তারকা বানিয়েছে। কিন্তু আজ এমন এক হতভাগ্য ফুটবলারের কথা বলবো , যার আন্তর্জাতিক ফুটবল জীবনে ঘন মেঘের অন্ধকার নিয়ে এসেছিলো এই কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্ট। তিনি মার্টিন পালেরমো। এই কোপা আমেরিকার একটি দু:স্বপ্নের ম্যাচ তাঁকে রাতারাতি পরিণত করেছিল এক খল নায়কে। কলঙ্কের বিশ্বরেকর্ড গড়ে, তিনি দেশবাসীর কাছে হয়ে উঠেছিলেন বিদ্রুপ ও উপেক্ষার পাত্র।
অথচ ফুটবল জীবনের শুরুটা কিন্তু অনেকের থেকে ভালোভাবেই হয়েছিল পালেরমোর। আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেকের আগেই হয়ে উঠেছিলেন রীতিমতো তারকা। কিন্তু সেই একটি অভিশপ্ত কোপা আমেরিকার ম্যাচ , ঘন অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছিলো তাঁর বাকি ফুটবল জীবন। গোড়া থেকে জানতে হলে ফিরে যেতে হবে গত শতকের নয়ের দশকের শুরুর দিকটাতে।
১৯৯০ বিশ্বকাপের পর ল্যাটিন আমেরিকার অন্যতম ফুটবল শক্তি আর্জেন্টিনায় যে কজন যুব প্রতিভা উঠে আসতে থাকে , তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। নিজের প্রথম ক্লাব দল এসট্রুদিয়ান্তেস ও পরে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে গোলের বন্যা বইয়ে ফুটবল জীবন শুরু করেছিলেন। এখনো বোকা জুনিয়র্সের হয়ে তার থেকে বেশি গোল করতে পারেননি কোনো ফুটবলারই। ১৯৯৮ সালে আর্জেন্টিনা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হবার পাশাপাশি, সে বছর ল্যাটিন আমেরিকার সেরা ফুটবলারের সম্মানও পান তিনি। অথচ আন্তর্জাতিক স্তরে তখন পদার্পণই হয়নি তাঁর।
ক্যানিজিয়া , বাতিস্তুতা, বালবো, ক্লদিও লোপেজ, ক্রেসপোদের নিয়ে গঠিত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড লাইনে তখন তারকার ছড়াছড়ি। এর মধ্যেও যখন প্যারাগুয়েতে অনুষ্ঠিতব্য ১৯৯৯ কোপা আমেরিকা থেকে নানা কারণে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন আর্জেন্টিনার তারকা স্ট্রাইকারদের সবাই, তখন তাকেই আক্রমণ ভাগের প্রধান অস্ত্র ধরে দল সাজালেন তৎকালীন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের প্রধান কোচ মার্সেলো বিয়েলসা।
কোপার শুরুটাও কিন্তু বেশ ভালোই হয়েছিল তার। বাতিস্তুতা , ক্রেসপোরা না থাকলেও বাকি পূর্ণশক্তির দল নিয়েই কোপা খেলতে এসেছিলো আর্জেন্টিনা। তাই জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নেমেই জয়ের স্বাদ পান তিনি। গ্রুপ-সি এর প্রথম ম্যাচেই ইকুয়েডরকে ৩-১ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা আর এই তিন গোলের দুটি গোলই আসে তার পা থেকেই। পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল কলম্বিয়া , আর সেই ম্যাচটিই অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়, জীবনের দ্বিতীয় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামা উঠতি তারকা স্ট্রাইকার পালেরমোর জন্য।
সেদিন ছিল ১৯৯৯ সালের চৌঠা জুলাই।কলম্বিয়া আর আর্জেন্টিনা গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি। গ্রূপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে রোনালদো, রিভালদোর ব্রাজিলকে এড়ানোর জন্য দুই দলই মরিয়া ছিল ম্যাচ জিততে। চূড়ান্ত নাটকীয়তায় ভরা ছিল সেই ম্যাচ। খেলার শুরুতেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে আর্জেন্টিনা আর সেই আক্রমণের মধ্যমনি ছিলেন তিনিই।
এমনি এক আক্রমণে উঠে এসে আর্জেন্টাইন লেফট ব্যাক হুয়ান পাওলো সোরিন কলম্বিয়া পেনাল্টি বক্সে তাকে লক্ষ্য করে ক্রস বাড়ান। গতিতে পরাস্ত হয়ে নিশ্চিত গোল করা থেকে তাকে বিরত করতে ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল থামান কলম্বিয়া ডিফেন্ডার ভিভেরস। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। তিনিই এগিয়ে আসেন শট মারতে। শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যাবার সুযোগ পেয়ে দর্শকরা তখন আনন্দে আত্মহারা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে, তার শট ক্রসবারে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়।
এরপর আক্রমন হানে কলম্বিয়াও। কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার বেতানকর্থকে বক্সের ভিতর ফাউল করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নেলসন ভিবাস। পেনাল্টি থেকে কলম্বিয়াকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি ইভান কর্ডোবা। এরপর আবার পেনাল্টি বক্সে কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার হ্যামিল্টন রিকার্ডকে ফাউল করা হলে , আবার পেনাল্টি পায় কলম্বিয়া। কিন্তু রিকার্ডের শট বা দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক জার্মান বুর্গস।
মধ্যান্তরের বিরতিরপর আবার তাকে লক্ষ্য করে ক্রস বাড়ান রিকেলমে, আবার তিনি গোল করার আগের মুহূর্তে হ্যান্ডবল করেন সেই কলম্বিয়া ডিফেন্ডার ভিভেরস ।আবারো পেনাল্টি , সমতা ফেরানোর সুযোগ। আবারো পেনাল্টি মারতে যান তিনি এবং মাঠভর্তি দর্শকদের স্তম্ভিত করে ক্রসবারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে দিয়ে আবারো পেনাল্টি নষ্ট করে বসলেন পালেরমো।
দর্শকদের এক গোলে পিছিয়ে থাকার হতাশা ক্রমেই পরিণত হতে থাকলো বিরক্তিতে। ডাগ আউটে আর্জেন্টিনা কোচ বিয়েলসাকে দেখা যায় প্রকাশ্যেই হাত পা ছুড়ে বিরক্তি প্রকাশ করতে। এরপর খেলার ৭৯ ও ৮৭ তম মিনিটে পরপর দুটি গোল করে যান কলম্বিয়ার দুই বদলি ফুটবলার কঙ্গো ও মোন্টানো। ৩-০ গোলে পিছিয়ে পরে আর্জেন্টিনা । খেলার একদম শেষ সময়ে কলম্বিয়া পেনাল্টি বক্সে তাকেই আবার ফাউল করেন কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার ইভান কর্ডোবা।
খেলায় আর্জেন্টিনার পক্ষে তৃতীয় পেনাল্টিটিও মারতে যান আবার তিনিই এবং অবিশ্বাস্য ভাবে তাঁর এই শটটি আটকে দেন কলম্বিয়া গোলকিপার মিগুয়েল কালেরো। আর্জেন্টিনা সমর্থকদের বিরক্তি তখন রীতিমতো ক্রোধ ও ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। যে খেলা ৩-৩ গোলে ড্র হতে পারতো , তিনি তিন তিনটি পেনাল্টি একাই নষ্ট করে সেই খেলাই ৩-০ গোলে হারিয়ে দিলেন। কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক খেলায় ৯০ মিনিটের মধ্যে সবথেকে বেশি পেনাল্টি নষ্টের কলঙ্কজনক বিশ্বরেকর্ড করে তিনি নাম তুলে নিলেন গিনেজ বইয়ের পাতায়, যে রেকর্ড আজও অক্ষুন্ন।
খেলার শেষে চূড়ান্ত ক্ষোভ, বিদ্রুপ ও অপমানের শিকার হতে হয় আগের ম্যাচেই দুই গোল করে দলকে জেতানো এই স্ট্রাইকারটিকে। জনগণ ভুলে যান , তিন বারই অবৈধ ভাবে তাকে না আটকানো হলে , হয়তো তিনটি ফিল্ড গোল লেখা থাকতো তার নামের পাশে। গণরোষ থেকে তাকে রক্ষা করতে পুলিশ প্রহরায় হোটেল পৌঁছে দিতে হয় সেদিন।
গ্রূপের তৃতীয় ম্যাচেও , উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়ে তার ভূমিকা ছিল। দলের দ্বিতীয় গোলটি তার পা থেকেই এসেছিলো। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে যদিও তিনি গোল পাননি। আর্জেন্টিনাও হেরে বিদায় নেয় সেবারের মতো কোপা আমেরিকা থেকে।
দেশে ফেরার পর দেশবাসীর সব ক্ষোভ যেন উজাড় হয়ে যায় তার উপরেই। অথচ তিন গোল করে আর্জেন্টিনার পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা কিন্তু ছিলেন তিনিই। ওই একটি অভিশপ্ত ম্যাচ ভুলিয়ে দেয় তার সব অতীত সাফল্য। কোচ বিয়েলসা প্রকাশ্যেই তাকে স্বার্থপর ফুটবলার বলে অভিহিত করেন। এমনকি গড়াপেটার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর জাতীয় দলের দরজা চিরতরে যেন বন্ধ হয়ে যায় পালেরমোর জন্য। ২০০২ বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর কোচ বিয়েলসা অপসারিত হলেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়না তাঁর।
বছরের পর বছর উপেক্ষিতই থেকে যান তিনি। অথচ সেই সময় ভিলারিয়াল, রিয়াল বেটিস, বোকা জুনিয়র্স এর ক্লাব দলে নিয়মিত খেলে গেছেন তিনি এবং গোলও করেছেন। অবশেষে তিনি ডাক পান দীর্ঘ্য ১০ বছর পর , যখন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন প্রবাদপ্রতীম ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধা ছিল ম্যারাডোনার , আর তাই ঘানার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচে ২০০৯ সালে প্রায় দশ বছর পর আবার জাতীয় দলের জার্সি পরে খেলতে নামেন তিনি। বয়স তখন তার ৩৬ ছুঁই ছুঁই। এই সুযোগ হেলায় হারাতে দেননি।
২ -০ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা , আর দুটি গোলের মালিকই আর কেউ নন , সেই উপেক্ষিত তিনিই। ৩৬ বছর বয়সেও দশ বছরের ব্যবধানে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করে দুই গোল করা যায় , তিনিই দেখিয়ে দিলেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে।এরপর ২০১০ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের দুটি ম্যাচেও খেলেন তিনি। পেরুর বিরুদ্ধে খেলা যখন ১-১ গোলে শেষ হবার মুখে, ৯২ তম মিনিটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে জেতান তিনি। এই গোলের পর কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনা তাঁকে ‘সেইন্ট’ বা ‘সাধু’ বলে অভিহিত করেন, যার আশীর্বাদে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
দশ বছর আগে এক কোচ তাকে স্বার্থপর তকমা দিয়ে দল থেকে বিতাড়িত করেছিলেন, আর দশ বছর পর, আরেক কোচ তাকেই ‘সেইন্ট’ এর সাথে তুলনা করলেন। তিনি হয়ে উঠলেন কোচের অন্যতম ভরসার পাত্র। ২০১০ বিশ্বকাপের মূলপর্বের জন্য যখন চূড়ান্ত দল ঘোষণা করলেন ম্যারাডোনা , তখন মেসি, হিগুয়াইন , আগুয়েরো , তেভেজদের পাশে স্ট্রাইকার হিসাবে ৩৭ বছর বয়সী তার নাম দেখে তাই খুব বেশি বিস্মিত হয়নি আর্জেন্টিনাবাসী। বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি হিসাবে জ্যামাইকা ও হাইতির বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলে আর্জেন্টিনা। দুটিতেই তিনি খেলেন এবং গোলও করেন।
বিশ্বকাপের মূলপর্বের কোনো ম্যাচে তিনি মাঠে নামবেন , ১৯৯৯ এর সেই ম্যাচের পর হয়তো আর আসা করেননি তিনি। কিন্তু সেই অপূর্ণ স্বপ্নই পূর্ণ হয়, ২২ জুন , ২০১০ তারিখে। গ্রিসের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে ৮০ তম মিনিটে স্ট্রাইকার ডিয়েগো মিলিতোর পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামেন তিনি। পূরণ হয় দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার আজন্ম লালিত এক স্বপ্ন। আরেকটি স্বপ্নও তিনি পূরণ করে ফেলেন ৯ মিনিটের মধ্যে।
৮৯ তম মিনিটে দেশের হয়ে বিশ্বকাপের আসরে গোল করে আরেকটি ইতিহাস রচনা করেন বসেন তিনি।আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রবীণতম ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপের মূল আসরে গোল করে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলে নেন আবারো। ভেঙে দেন ১৯৯৪ সালে এই গ্রিসেরই বিরুদ্ধে করা কিংবদন্তি ম্যারাডোনার রেকর্ড।
বিশ্বকাপের ঠিক পরেই সব রকম ফুটবল থেকে অবসর নেন ৩৭ বছরের এই স্ট্রাইকার। সাংবাদিকদের জানান , জীবনের সব স্বপ্নই পূরণ হয়েছে তার। ধন্যবাদ জানান ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে তার এই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আসলে ফুটবল যার রক্তে মিশে আছে , সেই ম্যারাডোনার জহুরি চোখ প্রতিভা চিনতে ভুল করেনি।
তাই ৩৭ বছর বয়সেও মেসি , মিলিতোদের মতো যুব প্রতিভার পাশে খেলিয়েছিলেন অভিজ্ঞ অথচ বঞ্চিত এই স্টাইকারটিকে। গোল অসম্ভব ভালো চিনতেন তিনি , গোলের সামনে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। দেশের হয়ে মাত্র ১৫ বার মাঠে নেমে , গোল করেছিলেন ৯ টি। কিন্তু সেই একটি অভিশপ্ত কোপা ম্যাচই ঘন কালো মেঘে ঢেকে দিয়েছিলো এই উদীয়মান তারকার আলো। যে তারা আবারো আলো ছড়ালো দশ বছর পর।
যদি কোনো কারণে সেই ম্যাচটিতে তিনি খেলতে না নামতেন অথবা ওর্তেগা , সিমিওনে, আয়ালার মতো পোড় খাওয়া ফুটবলাররা আন্তর্জাতিক ফুটবল জীবন শুরু করতে যাওয়া এক তরুণকেই পর পর তিনটি পেনাল্টি মারা থেকে বিরত করে , নিজেরা দায়িত্ব ঘাড়ে তুলে নিতেন ,তাহলে আজ হয়তো আমরা ব্যাতিস্তুতা , ক্রেসপোদের পাশাপাশি পেতাম আরেক আর্জেন্টাইন গোলমেশিনকে।
আজও যদি আপনি রেকর্ড বইয়ের পাতা ওল্টান , দেখতে পাবেন একটি কলঙ্ককের এবং একটি গৌরবের রেকর্ডের পাশে জ্বল জ্বল করছে একটি নাম – মার্টিন পালেরমো। একটি অভিশপ্ত কোপা আমেরিকা ম্যাচ যার থেকে কেড়ে নিয়েছিল তারকার সম্মান এবং জীবনের অমূল্য দশটি বছর।