আর অল্প কয়েকটা দিনের অপেক্ষা।
তারপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ওয়ানডে দল ঘোষনা করা হবে। এই দল নিয়ে সবচেয়ে বড় আগ্রহ হলো-মাশরাফি কী দলে থাকছেন?
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন। এরপর লম্বা সময় ধরে খেলার বাইরে, এমনকি অনুশীলনেরও বাইরে ছিলেন মাশরাফি। সেই অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো মাশরাফি এবারের স্কোয়াডে থাকতেন না। কিন্তু এর মাঝে চমকের মতো এসে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দারুন পারফরম্যান্স করেছেন। ফলে আবার আলোচনায় চলে এসেছেন মাশরাফি।
এখন প্রশ্ন হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কী তিনি খেলবেন? সাবেক এই অধিনায়ক কী থাকবেন দলে? এই প্রশ্নটাকে নির্বাচকদের জন্য তুলে রেখে পেসার আল আমিন বলছেন, মাশরাফি দলে থাকলে তিনি খুশী হবেন।
আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজ দিয়েই দীর্ঘ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ শেষে বিসিবির ভাবনাতেও এখন এই সিরিজ।
বাংলাদেশের খেলা সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই সিরিজেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মাশরাফি। ঐ সিরিজের পরই করোনা বিপর্যয়ে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরণের খেলাধূলা। প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে ক্রিকেট মাঠে ফিরলেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ফিরতে পারেননি মাশরাফি; ছিলেন সব ধরণের আলোচনার বাইরে।
কিন্তু চোট কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের শেষের দিকে মাঠে ফিরেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে আবারো আলোচোনায় নড়াইল এক্সপ্রেস। সবারই একটাই প্রশ্ন আগামী মাসে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে সুযোগ পাবেন কি মাশরাফি? তবে মাশরাফিকে দলে চাইছেন পেসার আল-আমিন হোসেন।
মাশরাফিকে নিয়ে আল আমিন বলেন, ‘ফিটনেসের ব্যাপারটা যদি বলেন সেটা ট্রেনার বা টিম ম্যানেজমেন্ট দেখবে। দলে কে থাকবেন অন্তর্ভুক্তি হবেন বা হবেন না সেটা আমার বলার বিষয় না। কে দলে থাকবে বা আমিও দলে থাকব কি না সেটা কোচিং স্টাফ, নির্বাচকরা ভালো বুঝবেন। উনার সাথে অনেকদিন খেলেছি, উনি খুবই ভালো একজন লিডার।’
আল আমিন আরো বলেন, মাশরাফিকে দলে পেলে তিনি খুশীই হবেন, ‘আমরা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট খেলেছি, ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। সে হিসেবে মাশরাফি ভাই অনেকদিন ইনজুরিতে ছিল। সবকিছু মিলিয়ে উনি ফিরেছেন এবং ভালো পারফরম্যান্স করেছে। আমার কাছে মনে হয় উনি ভালো শেপে আছেন। যদি টিমে সিলেক্ট হন তাহলে দলের জন্য ভালো হবে মনে করি।’
উল্লেখ্য, আগামী মাসে ২টি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে ক্যারিবিয়ানরা। ২০ জানুয়ারি ১ম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় ওয়ানডে ও ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দুই ম্যাচ হোম অফ ক্রিকেট শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে জহুর আহম্মেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামে। সিরিজের সব গুলো ম্যাচই শুরু হবে দুপুর দুইটায়।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ১ম টেস্ট ও ১১ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে ২য় টেস্ট শুরু হবে। সফর সংক্ষিপ্ত করার জন্য বাতিল করা হয়েছে টি-টুয়েন্টি সিরিজ।