ফ্রান্স দল এমনিতেই তারকা সমৃদ্ধ। তারপরও, সেখানে কিলিয়ান এমবাপ্পের উপস্থিতি বাড়তি অনুপ্রেরণা দেয়। যদিও, নাক ভেঙে যাওয়ায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে এমবাপ্পেকে পাচ্ছেন না কোচ দিদিয়ের দেশ্যম।
যার কারণে বাধ্য হয়ে ফ্রান্সকে প্ল্যান-বি’র দিকে হাত বাড়াতে হচ্ছে। ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন পরবর্তীতে জানিয়েছে এমবাপ্পে কোন ধরনের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু একইসাথে তারা বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে মাঠে নামতে হলে তাকে মাস্ক পড়ে খেলতে হবে। যদিও ডাচদের বিপক্ষে লিপজিগের ম্যাচের আগে ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি।
কোচ দিদিয়ের দেশ্যম আশা করছে তাঁর দল সম্ভাব্য সেরা ফলাফল নিয়েই মাঠ ছাড়বে। এই ম্যাচে জিততে পারলেই শেষ ষোলর টিকেট পাবে ফ্রান্স। আর তা হলে গ্রুপ-ডি’র ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষেও এমবাপ্পেকে বিশ্রামে রাখতে পারবেন দেশ্যম।
কিন্তু এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকারকে ছাড়া নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লেস ব্লুজরা যথেষ্ঠ শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। এ প্রসঙ্গে অবশ্য মিডফিল্ডার আদ্রিয়েঁ রাবিও বেশ আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এমবাপ্পে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়, আমাদের অধিনায়ক, আমাদের নেতা। সে কারনেই তার অনুপস্থিতি দলে প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমাদের দলটি একটি ভিন্নধর্মী দল। বেঞ্চে যারা রয়েছে তারা সমান প্রতিভাবান। কিলিয়ানের বদলী হিসেবে দলে যথেষ্ট খেলোয়াড় মজুত আছে।’
৮০ ম্যাচে ৪৭ গোল করে জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সের শেষ ছয় ম্যাচে এমবাপ্পে মাত্র একটি গোল করেছেন। লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ইউরোর প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি গোলটি করেন।
এমবাপ্পেকে বদলী বেঞ্চে রেখে গত সেপ্টেম্বরে জার্মানির কাছে প্রীতি ম্যাচে দেশ্যমের দল ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। প্রাক-টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচেও খর্বশক্তির কানাডার সাথে গোলশুন্য ড্রয়ের ম্যাচটিতে একেবারে শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমেছিলেন এমবাপ্পে।
তাঁর অনুপস্থিতিতে দেশ্যমের হাতে নিশ্চিতভাবে একটি বিকল্প রয়েছে, অভিজ্ঞ অলিভার জিরুদ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গিরুদের মূল দলে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। আরেকজন বিকল্প আছে কোচ দেশ্যমের হাতে। লেফট উইং এবং সেন্ট্রাল রোলে তিনি মার্কাস থুরামকে খেলাতে পারেন। ২০ ম্যাচে এ পর্যন্ত থুরাম দেশের হয়ে মাত্র দুই গোল করেছেন।
এছাড়াও আরো রয়েছেন রানডাল কোলো মুয়ানি। কিন্তু পিএসজিতে এমবাপ্পের কারণে মূল দলে তাঁর জায়গা হয়না। ফলে, আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি রয়েছে তাঁর। তবে, যেই খেলুক না কেন এমবাপ্পের অভাব টের পাবে ফ্রান্স।