ম্যাকগ্রার টোটকাই জাসপ্রিতের পরিবর্তনের সূত্র

আর জাসপ্রিতের এমন দিন বদলের পেছনে রয়েছে গ্লেন ম্যাকগ্রারও অবদান। যদিও তার কৃতীত্ব নিতে চাননা কিংবদন্তি এই পেসার।

একটা সময় বাইশ গজে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। তিনি এখন চেয়ারে হেলান দিয়ে উপভোগ করছেন জাসপ্রিত বুমরাহদের গতিময় ছন্দ। বর্তমান সময়ে জাসপ্রিত বুমরাহ যেন রীতিমত এক প্যাকেজ। তিনি দলের জন্যে ঠিক কতটা কার্যকর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে শুরু থেকেই নিশ্চয়ই এমন ছিলেন না জাসপ্রিত বুমরাহ। শুরুতে তার গতি ছিল। কিন্তু বলে ততটাও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাছাড়া তার ছোড়া বলগুলো ভয় ধরিয়েছে খুব সামান্যই। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে প্রচণ্ড কার্যকর এক বোলারে পরিণত হয়েছেন জাসপ্রিত। সেই সাথে ত্রাসের রাজত্বও সৃষ্টি করে চলেছেন তিনি।

আর তার এমন দিন বদলের পেছনে রয়েছে গ্লেন ম্যাকগ্রারও অবদান। যদিও তার কৃতীত্ব নিতে চাননা কিংবদন্তি এই পেসার। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি চলাকালীন সময়েই স্মৃতিচারণা করেছেন খোদ গ্লেন ম্যাকগ্রা।

তিনি বলেন, ‘তার যথেষ্ট গতি ছিল আর প্রায় প্রতিটা বলই ভেতরের দিকে অ্যাঙ্গেল করাতে পারত। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম ক্রিজের সোজাসুজি বল করবার, তাতে করে তার বল আরও বেশি কার্যকর হবে। কিন্তু তখন সে নিজের রানআপ পরিবর্তন করতে পারেনি।’

মূলত জাসপ্রিত তার ক্যারিয়ারেরে শুরুর দিকে বেশ বড়সড় লাফ দিয়ে বল ছুড়তেন। তাতে করে তিনি ক্রিজ থেকে দূরে সরে যেতেন। সে বিষয়টি পরবর্তীতে পরিবর্তন করতে হয়েছে তাকে। এখন তিনি খুব একটা লম্বা লাফ দেননা। এ জন্যে অবশ্য ইনজুরি দায়ী।

ম্যাকগ্রা বলেন, ‘তিনি সম্ভবত হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েছিলেন। হাঁটুতে ক্ষতিও হয়েছিল। এরপর ফেরার সময় তিনি নিজেকে নতুন করে অনুশীলন করেছেন। দেখেন আমি কোন কৃতীত্ব নিতে চাই না। সে আমার পরামর্শ অনুযায়ী এখন বোলিং করে, তবে সেজন্যে নিজেকে পুনঃরায় প্রস্তুত করতে হয়েছে- সেটা মোটেও সহজ কিছু নয়।’

জাসপ্রিতকে পরিবর্তনের সমস্ত কৃতীত্ব দিয়েছেন ম্যাকগ্রা। তিনি আরও বলেন, ‘এখন সে ক্রিজের সোজাসুজি বোলিং করে, তার হাত বলের পেছনে পুরোপুরি থাকে, এবং সেই গতির সঙ্গে বল স্ট্যাম্পে স্কিড করে। এটি তাকে ব্যাটসম্যানদের জন্য সত্যিই কঠিন প্রতিপক্ষ করে তুলেছে।’

 

Share via
Copy link