সুপার এইটে উঠতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি জিততেই হবে স্কটল্যান্ডের। নামিবিয়া ও ওমানকে বিশাল ব্যাবধানে হারিয়ে নেট রান রেটের সমীকরণ শেষ করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। তাই ম্যাচটিতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই স্কটল্যান্ডের কাছে। আর সেই কাজটি বেশ ভাল ভাবেই শুরু করলে স্কটল্যান্ড ব্যাটার ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন।
প্রথম ওভারেই উদ্বোধনী ব্যাটার মাইকেল জোন্সকে হারায় স্কটিশরা। তবে তিন নম্বরে খেলতে এসেই অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের উপর চড়াও হন ম্যাকমুলেন। দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন তিনি।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে অস্ট্রেলিয়ান বোলার নাথান এলিসকে ছক্কা মেরে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন ম্যাকমুলেন। অফ স্ট্যাম্পের বাহিরের বলটি কভারের উপর দিয়ে সীমানা পার করেন তিনি। পরের ওভারে আবারও মিচেল স্টার্ককে ছক্কা হাকান ম্যাকমুলেন।
নিয়মিত বাউন্ডারি হাকিয়ে নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং প্রদর্শনী করতে থাকেন ম্যাকমুলেন। সতীর্থ জর্জ মানসিকে সাথে নিয়ে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৫৪ রান তোলেন তিনি। চলমান বিশ্বকাপের হিসাব করলে যা বেশ প্রশংসনীয়।
পাওয়ার প্লের শেষেই নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান ম্যাকমুলেন। চলমান আসরে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার জাম্পাকে একটি ছয় ও চারের সাহায্যে স্বাগত জানায় ম্যাকমুলেন। স্পিনার কিংবা পেসার কোনো বোলারকেই ছাড় দিচ্ছিলেন না ম্যাকমুলেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা অ্যাস্টন অ্যাগারের করা দ্বিতীয় ওভারে দুইটি ছক্কা হাকিয়ে অর্ধশতক এর দ্বারপ্রান্তে যান ম্যাকমুলেন। সেই ওভারের শেষ বলেই এক রান নিয়ে নিজের অর্ধশতক করেন তিনি। মাত্র ২৬ বলে ১৯২ স্ট্রাইক রেটে এই অর্ধশতক ছুয়ে ফেলেন তিনি। যেখানে ২ টি চার ও ৫টি ছক্কার মার ছিল।
অর্ধশতক করেও যেন তিনি থামছিলেন না। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। তাঁর ব্যাটিংয়ের গতি দেখে মনে হচ্ছিল শতক হাকিয়েই মাঠ ছাড়বেন তিনি। তবে তাঁর সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অ্যাডাম জাম্পা। নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে ম্যাকমুলেনকে তাঁর ঘূর্ণিতে শিকার করেন জাম্পা। অফ স্ট্যাম্পের বাহিরের বলটি ম্যাকমুলেন বড় শট খেলতে গেলে থার্ড ম্যানে মিচেল স্টার্কের তালুবন্দি হন তিনি।
আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৬০ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন তিনি। যা স্কটল্যান্ডের ইনিংসকে গতি দেয়। ৩ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সমান ৫ পয়েন্ট নিয়ে থাকলেও নেট রান রেটে অনেক পিছিয়ে স্কটল্যান্ড। তাই সুপার এইটে যাওয়ার জন্য ম্যাচটি জিততেই হবে স্কটল্যান্ডকে।