মেহরাবের ঝড়ে বদলে গেল সবকিছু!

চার ছক্কা আর এক চার, ১৯তম ওভার থেকেই তুলে নিলেন ২৮ রান। মেহরাব হাসান যেন রুদ্ররূপ ধারণ করলেন। নামান ধীরের ওভারটাকে নিয়ে স্রেফ ছেলেখেলা করলেন। এক লহমায় বদলে দিলেন ম্যাচের দৃশ্যপট।

চার ছক্কা আর এক চার, ১৯তম ওভার থেকেই তুলে নিলেন ২৮ রান। মেহরাব হাসান যেন রুদ্ররূপ ধারণ করলেন। নামান ধীরের ওভারটাকে নিয়ে স্রেফ ছেলেখেলা করলেন। এক লহমায় বদলে দিলেন ম্যাচের দৃশ্যপট।

ভারতের বিপক্ষে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ, হাবিবুর রহমানের ঝড়ো ইনিংস একটা বড় স্কোরের আভাস দিচ্ছিল ঠিকই। তবে মিডল অর্ডারের দায়িত্বে থাকা ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেন আরও একবার। একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল ১৮০ রান অনায়াসে তুলবে বাংলাদেশ, হাবিবুর রহমান ফিরে যাওয়ার পর তা ১৫০ পেরোনোই দুষ্কর হয়ে পড়ে।

হাবিবুরের স্থলাভিষিক্ত হন মেহরাব। আর এরপর যেন এক নাটকীয় দৃশ্যের মঞ্চায়ন ঘটান। ম্যাচের ১৯তম ওভারটাকেই বেছে নেন ঝড় বইয়ে দেওয়ার জন্য। প্রথম বলটাই এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন সীমানার ওপারে। ওটাই ছিল ঝড়ের পূর্বাভাস। পরের বলটা ডট দিলেন ঠিকই, তবে তা শেষ চার বলে পুষিয়ে নিলেন সুদে-আসলে।

তিন ছক্কা আর এক চার হাঁকালেন ওই চার বলে। বাংলাদেশ যখন বড় রানের স্বপ্নের জলাঞ্জলি দিয়ে ফেলেছে, তখনই ওই এক ওভারে সবটা বাঁচিয়ে তুললেন মেহরাব। তবে এখানেই শেষ করেননি, ২০তম ওভারের শেষ বলে স্ট্রাইক পেয়ে লং অন-এর ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে তবেই আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন তিনি।

শেষটাতে নামের পাশে তুলেছেন ১৮ বলে ৪৮ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। এক চার আর ছয় ছক্কায় সাজানো ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ২৬৭। যার হাত ধরে বাংলাদেশও স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে ১৯৫ রানের বড় সংগ্রহ।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link