ওয়ানডে আর টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজ যতটা প্রয়োজনীয় টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে ততটা গুরুত্ব দেয়া হয় না। পাওয়ার হিটার হিসেবেও তাঁর খুব বেশি পারদর্শিতা নেই, আবার বোলিংয়েও আহামরি কিছু করতে পারেন না। কিন্তু একটা জায়গায় তিনি এগিয়ে, সেটা হলো ইম্প্যাক্ট। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের খেলাটা ইম্প্যাক্টের উপর নির্ভর, মিরাজ এখানেই ছাড়িয়ে গিয়েছেন অনেককে।
এই যেমন ফরচুন বরিশাল বনাম রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচের কথা ভাবা যাক। বরিশালের জার্সিতে এদিন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করেছেন এই ডানহাতি। বল হাতে নিয়েছেন দুই উইকেট আর ব্যাট হাতে করেছেন গুরুত্বপূর্ণ বিশ রান।
আগে ব্যাট করতে নামা রংপুর যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল তখন ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন শামীম হোসেন। বাইশ গজে সেট হয়ে বড় ইনিংস খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু মিরাজ তাঁকে সেই সুযোগ দেননি। ৩৩ বলে ৩৪ রান করা বাঁ-হাতি ব্যাটারকে বোল্ড করেন তিনি। সেই সাথে আরেক বিধ্বংসী ফিনিশার মোহাম্মদ নবীকেও প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন এই অফ স্পিনার।
সব মিলিয়ে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে দুই উইকেট পেয়েছেন তিনি। বিনিময়ে খরচ করেছেন মাত্র ১৩ রান। রান তাড়া করতে নেমে আবার তিন নম্বরে নামেন মেহেদি; ইনিংসের মাঝপথে তামিম, সৌম্য দ্রুত আউট হলে দলের হাল ধরেন। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তাঁর ২৭ রানের জুটি সংখ্যাতত্ত্বে বড় কিছু না হলেও ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় বড্ড দরকারি ছিল।
এই তারকার ফিল্ডিংয়ের কথা আলাদা করে না বললেও হয়। এনার্জেটিক ফিল্ডিংয়ে প্রতি ম্যাচেই কম-বেশি রান বাঁচান তিনি। টি-টোয়েন্টির মত ছোট পরিসরের ম্যাচে এমন টাইট ফিল্ডিং নি:সন্দেহে এগিয়ে রাখে দলকে।
অস্বীকার করার উপায় নেই যে তাঁর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পেস বলের বিপক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে পারেন না, বোলিংয়ে খুব বেশি ভেরিয়েশন নেই। তবু সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে এই অলরাউন্ডার যেভাবে পারফর্ম করেন সেটা নিশ্চয়ই প্রশংসনীয়।